মে ডে বিপদ বার্তা, তারপর সব চুপ, ২৪২ জনকে নিয়ে চিকিৎসকদের হস্টেলে ধাক্কা মারে বিমানটি
আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার ঠিক আগেই পাইলট দিয়েছিলেন মে ডে বার্তা। ২৪২ জনের মধ্যে বিমানে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। বিমানটি কেন উড়ছিল নিচ দিয়ে।

আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ওড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি। বিমানে ছিলেন মোট ২৪২ জন। যাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী। ১০ জন বিমানকর্মী। যাঁদের মধ্যে ২ পাইলটও রয়েছেন।
লন্ডনগামী বিমানটি সবে উড়েছিল। লম্বা সফর। তাই বিমানে জ্বালানি ছিল ভরা। বিমানটি সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার সামান্য সময়ের মধ্যেই পাইলট মে ডে বার্তা পাঠান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে।
মে ডে বার্তা হল বিপদ বার্তা। তখনই তাই এটিএস থেকে বিমানে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু সব চুপচাপ। বিমানটি ওড়ার পর কিন্তু কিছুতেই উপরে উঠতে পারছিলনা। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন সমস্যাটা সেখানেই।
বিমানটি মাটি থেকে ৮২৫ ফুট উপরে উঠতে পেরেছিল। তার ওপরে যাওয়ার চেষ্টা হয়তো করেছিলেন পাইলট। কিন্তু অসমর্থ হন। ওই উচ্চতায় উড়ে অবশেষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা গিয়ে বিমানটি ধাক্কা মারে একটি হস্টেলে।
চিকিৎসকদের সেই হস্টেলে তখন দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর্ব চলছিল। হস্টেলের বাড়িটি কার্যত একটা ধ্বংসস্তূপের চেহারা নেয়। বিমানটি উড়তে না পারায় এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন অনেকে। এদিকে হস্টেলে ধাক্কা মারার পরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কারণ বিমানে প্রচুর জ্বালানি ছিল।

বিমানে যে ২৩২ জন যাত্রী ছিলেন তাঁদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, ৭ জন পর্তুগীজ নাগরিক ছিলেন এবং ১ জন কানাডার বাসিন্দা ছিলেন। বিমানের পাইলট সুমিত সবরওয়াল একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ পাইলট হিসাবে পরিচিত। তাঁর ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তাঁর সঙ্গে যিনি ফার্স্ট অফিসার হিসাবে ছিলেন তাঁরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। ক্লাইভ কুন্দর নামে ওই পাইলটের ১ হাজার ১০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এমন ২ অভিজ্ঞ পাইলট থাকা সত্ত্বেও বিমানটি ওড়ার পরই মে ডে বার্তা দিতে বাধ্য হল। ভেঙে পড়ল অচিরেই।
এই দুর্ঘটনার পর শোক ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমানে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা