Sports

শ্রেয়স-পৃথ্বী ঝড়, কলকাতাকে দাঁড় করিয়ে হারাল দিল্লি

টেবিলের সবচেয়ে নিচের টিম। টানা হারে মনোবলও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবে দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন গৌতম গম্ভীর। নতুন অধিনায়ক হয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। এই অবস্থায় দরকার ছিল একটা জয়ের। আর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে টেনে তুলতেই যেন সেই উপহার গোহারান হেরে দিল্লির হাতে তুলে দিল কলকাতা। কলকাতার দলের ভারসাম্য ও খেলোয়াড় চয়ন যে কতটা খারাপ হয়েছে তা এবার হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন দলের কর্মকর্তা থেকে অতিবড় ফ্যানেরা। না বোলিংয়ের ধার আছে। না আছে ফিল্ডিং। আর না আছে ব্যাটিংয়ের গভীরতা।

দিল্লির মাঠে কয়েকদিনের অবসর কাটিয়ে ফের বুক ভরা এনার্জি নিয়ে মাঠে নেমেছিল কলকাতা। টসও জিতেছিল। কিন্তু টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন অধিনায়ক কার্তিক। সেটাই বোধহয় হারের ললাটলিখন স্পষ্ট করে দিয়েছিল। দিল্লি মাঠে নেমে থেকে মারমুখী মেজাজে ছিল। তবে এদিন যদি কেউ কামাল দেখিয়ে থাকেন তবে তিনি সদ্য দলের দায়িত্ব পাওয়া শ্রেয়স আইয়ার এবং ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক পৃথ্বী শাহ। পৃথ্বী ৪৪ বলে করেন ৬২ রান। অন্যদিকে মারমুখী শ্রেয়স আইয়ারেরই ২টি ক্যাচ ফস্কায় কলকাতা। যার ফল হয় মারাত্মক। ৪০ বলে ৯৩ রান করেন তিনি। এই ২ মহারথীর তাণ্ডবে ২১৯ রানে শেষ হয় দিল্লির ২০ ওভার।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিশাল রানের পাহাড় তাড়া করার মত এতটুকুও শক্তি দেখাতে পারেনি কলকাতা। বরং দেখে মনে হয়েছে হেরেই নেমেছে গোটা দলটা। খেলছে নিয়ম রক্ষার্থে। লড়াইটাও যে দেবে সেই মানসিকতাটুকু দেখাতে পারেননি কলকাতার ক্রিস লিন, রবীন উত্থাপ্পা, কার্তিক বা রাণার মত ভারী ভারী নামেরা। যা থেকে একটা বিষয় পরিস্কার যে চাপের মুখে খেলার মত পেশাদারিত্ব এ দলের নেই। আর সেখানেই ধরা পড়ে গেল কলকাতার খেলোয়াড় চয়নের ব্যর্থতা। বরং এদিন যদি কলকাতার জন্য কেউ নিজের শেষটুকু নিংড়ে লড়াই দিয়ে থাকেন তবে তিনি রাসেল। আর বড় শট মারতে না পারলেও অন্যদিক ধরে কিছুক্ষণ লড়াই দেন শুভমান গিল। কিন্তু এই ২ ব্যাটসম্যান ফেরার পর খেলাটা নিয়ম মেনে শেষ করাটা ছিল একমাত্র লক্ষ্য। জিতে দিল্লি আগেই গিয়েছিল। ২০ ওভারের শেষে কলকাতা ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৪ রান। ৫৫ রানে জেতে দিল্লি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *