Sports

স্পিনারদের ঘূর্ণিঝড়, রোহিতের তাণ্ডব, অজিদের উড়িয়ে দিল ভারত

সিরিজের ফল ৪-১, এই ১টা হারের আফসোস হয়তো সহজে যাবে না বিরাটদের। হবে নাই বা কেন! ৫ ম্যাচের সিরিজে একটা হার না থাকলে হোয়াইটওয়াশটা হয়ে যেত। তবু নাগপুরে এদিনের জয়ে ডবল আনন্দ বিরাট বাহিনীর। সেটা শুধু অজিদের হারানোই নয়, এই জয়ের হাত ধরে আইসিসি ওয়ান ডে ব়্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে এল ভারত। পিছনে ফেলে দিল দীর্ঘসময় ১ নম্বর ধরে রাখা সাউথ আফ্রিকাকে।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য ছিল চতুর্থ ওয়ান ডে-র মত পাহাড় প্রমাণ রান করে বিরাটদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া। কিন্তু খেলা শুরুর পর এক এক করে ফিঞ্চ, স্মিথ, ওয়ার্নার ফেরার পর সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে। ধীরে ব্যাট করা শুরু করেন হ্যান্ডসকম্ব, হেডরা। তারপরও উইকেট পড়া আটকায়নি। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া অজি বাহিনী ৫০ ওভারের শেষে ৯ উইকেটে তোলে ২৪২ রান। প্যাটেল, কুলদীপ, কেদারদের ঘূর্ণির সামনে সেভাবে রান করতে না পারা অজি বাহিনীর এই রান তোলা যে ভারতের মত ব্যাটিং লাইনআপের পক্ষে খুব কষ্টসাধ্য নয়, তা সবাই মেনে নিচ্ছিলেন।

ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে রোহিত শর্মাকে নড়বড়ে লাগলেও পরে তাঁর আগুনে ব্যাটিং কার্যত অজিদের সব আশা শেষ করে দেয়। রাহানেও এদিন নিজের জায়গায় দুরন্ত। রাহানের ৬১ আর রোহিতের ১২৫ রানের পর ভারতের আর কারও বিশেষ কিছু করার ছিলনা। রাহানে, রোহিত ছাড়া ভারতের আর একমাত্র উইকেট পড়ে অধিনায়ক বিরাটের। বিরাট করেন ৩৯ রান। এরপর কেদার আর মণীশ মিলে অজি কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেন। এদিন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন রোহিত শর্মা। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ৩ ম্যাচের ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-২০ সিরিজ শুরু হচ্ছে।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button