World

৪০ বছর পর জেগে উঠল ঘুমন্ত দৈত্য

মাঝে পার হয়ে গেছে ৪০টা বছর। পুরো সময়টা সে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে। অবশেষে ঘুম ভাঙল তার। জেগে উঠল অতিকায় দৈত্য।

প্রায় ৪০ বছর মানুষ তাকে ঘুমিয়ে থাকতেই দেখেছেন। আশা ছিল হয়তো অনন্ত ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছে সর্বগ্রাসী দৈত্যটা। কিন্তু সব ধারনা নস্যাৎ করে ফের সে জেগে উঠল।

দৈত্য জেগে ওঠা মানেই মানুষের পালানোর পালা। কারণ এ দৈত্য কাউকে ছাড়ে না। বিশাল হাঁ মুখ দিয়ে আগুন বার হতে থাকে তার। গড়িয়ে পড়ে জ্বলন্ত লাভারস।


যার ছোঁয়ায় ছারখার হয়ে যায় জমি, ফসল, বাড়িঘর, জঙ্গল। কিছুই তার হাত থেকে রেহাই পায়না। মৌনা লোয়া নামে সে দৈত্য ৪০ বছর পর অবশেষে জেগে উঠল।

প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনা লোয়া আগ্নেয়গিরিই হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি। যা জেগে উঠলে বিস্তর এলাকার রক্ষা নেই। গত রবিবার থেকে সে জেগে উঠেছে।


শেষবার তাকে লাভা উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল ১৯৮৪ সালে। সেই শেষ। তারপর থেকে ঘুমিয়েই ছিল এই অতিকায় দৈত্য। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা শুরু হয়ে গেছে। প্রথমে যে সতর্কতা পরামর্শের পর্যায়ে ছিল তা এখন হুঁশিয়ারির জায়গায় পৌঁছে গেছে। মানুষকে এলাকা ছেড়ে সরে যেতে বলছে প্রশাসন।

এখনও লাভা যা উদ্গিরণ হয়েছে তা মৌনা লোয়ার জ্বালামুখের আশপাশেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও মুহুর্তে এই লাভার স্রোত নিচের দিকে গড়িয়ে পড়ে জনবসতির দিকে তেড়ে আসতে পারে। আর তা খুব দ্রুত হতে পারে।

তাই সকলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনও সবদিক থেকে তৈরি। প্রসঙ্গত ১৮৪৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মৌনা লোয়া ৩৩ বার জেগে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button