National

আরও শক্তিশালী দেশের অস্ত্রাগার, পাল্লা ভারী ‘ব্রহ্মস’-এর

দেশে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে হাতে এল আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস। যার সফল পরীক্ষা হল বুধবার।

ভুবনেশ্বর : শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস ভারতীয় প্রতিরক্ষা বন্দোবস্তের এক অন্যতম হাতিয়ার। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ব্রহ্মস।

২০০৫ সালে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সেনার হাতে আসে। তা তুলে দেওয়া হয়েছিল নৌসেনার হাতে। সে সময় ব্রহ্মস-এর মত শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হাতে থাকায় ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তি সঞ্চয় করেছিল। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেনি ডিআরডিও।

সুপারসনিক ক্রজ মিসাইল ব্রহ্মস-কে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চলতে থাকে। ২০০৫ এর পর ব্রহ্মস-এর পরীক্ষা মাঝে হয়। তাতে সেটিকে আরও শক্তিশালী করা হয়। বুধবার আরও শক্তিশালী হল ব্রহ্মস।

ব্রহ্মস-এর পাল্লা বাড়ানোর চেষ্টা ডিআরডিও চালাচ্ছিল। অবশেষে তা এদিন সফল হল। ২৯০ কিলোমিটার রেঞ্জের ব্রহ্মস এখন ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে প্রস্তুত।


ওড়িশার বালাসোরে বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার সময় ব্রহ্মস-কে ৪০০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘাত হানার জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়। দেখা যায় সফলভাবেই সেই টার্গেটে আঘাত হেনেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

পরীক্ষা সফল হওয়ায় নিশ্চিত হল ব্রহ্মস-এর এই ৪০০ কিলোমিটারের দূরত্বের পাল্লা বৃদ্ধি। যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা বন্দোবস্তকে আরও শক্তিশালী করল।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এদিন ব্রহ্মস-এর পরীক্ষা সফল হওয়ার পর ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানান। অভিনন্দন আছড়ে পড়েছে আরও বিভিন্ন মহল থেকে।

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ নিয়ে পরীক্ষা গত বছরও হয়েছিল। গত বছর ১ অক্টোবর ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে ব্রহ্মসের পরীক্ষা করা হয়। তা নির্দিষ্ট টার্গেটেই আঘাত করে।

রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ প্রযুক্তিতে ব্রহ্মস জন্ম নিলেও তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে ভারত নিজস্ব প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে। ভারতীয় অস্ত্রাগারে ব্রহ্মস-এর জায়গা পাওয়া অবশ্যই একটা বড় প্রাপ্তি বলে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

ভারত অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছে অস্ত্র তৈরিতে নিজস্ব প্রযুক্তি কাজে লাগাতে। তাদের নিজেদের তৈরি অস্ত্রে অস্ত্রাগার পূরণ করতে।

ব্রহ্মস নামটি এসেছে ২টি নদীর নাম থেকে। একটি ভারতের ব্রহ্মপুত্র। অন্যটি রাশিয়ার মস্কোভা। এর কারণও রয়েছে। ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে ব্রহ্মস তৈরির প্রকল্পে কাজ করেছে। এটি তৈরি হয়েছে এই ২ দেশের যৌথ প্রচেষ্টায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button