খোঁজ পাওয়া গেল ডাইনোসরের গোটা ডিমের, এবার কি তবে ফিরতে চলেছে ডাইনোসরেরা
পৃথিবীতে যত প্রাগৈতিহাসিক প্রাণির খোঁজ মিলেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত ডাইনোসর। তারাই আবার ফিরতে পারে পৃথিবীর বুকে। মাটির তলায় এমনই আশ্চর্য আশার নমুনা পেলেন বিজ্ঞানীরা।
প্রত্নতত্ত্বের জগতে যা কিছু খুঁজে পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই অত্যন্ত জীর্ণ অবস্থায় থাকে। কিন্তু কখনও কখনও মাটি খুঁড়ে এমনও কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক গুপ্তধনের সন্ধান মেলে যা সত্যিই চমকপ্রদ। এমনই বিরল এক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রাপ্তি এবার সকলকে চমকে দিল।
পাওয়া গেছে একটি ডাইনোসরের ডিম। আশ্চর্যের বিষয় ডিমটি একেবারে নিখুঁত অবস্থায় রয়েছে। তার খোলায় একটা ফাটল পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই ধারনা করা হচ্ছে এর ভেতরে একটি ভ্রূণও সংরক্ষিত থাকতে পারে। খুলতে পারে জীবাশ্মবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত।
সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়ায় একদল জীবাশ্মবিদ একটি ডাইনোসরের ডিম উদ্ধার করেন। ডিমটি ক্রেটেসিয়াস যুগের বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ ডিমটি আনুমানিক ৭ কোটি বছর পুরনো। ডিমটির অক্ষত খোলসই গবেষকদের অবাক করেছে।
মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল সায়েন্সেস-এর গবেষক দলটির মতে ডিমটি সম্ভবত ‘বোনাপার্টেনিকাস’ প্রজাতির কোনও ডাইনোসরের। এরা একধরনের মাংসাশী ডাইনোসর। ক্রেটেসিয়াস যুগের শেষভাগে পৃথিবীতে এই প্রজাতির ডাইনোসররা ঘুরে বেড়াত। এদের ডিমের খোলা পাতলা হওয়ায় তা সাধারণত নষ্ট হয়ে যায়।
সেখানে অক্ষত অবস্থায় এমন ডিমের খোঁজ পাওয়াটা জীবাশ্মবিদদের কাছে বিরাট পাওনা। ডিমের ভেতরে কোনও কার্যকর ডিএনএ পাওয়া গেলে তা হতে পারে জীবন্ত ডাইনোসর ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ। যা জীবাশ্মবিজ্ঞানের ইতিহাসে যুগান্তকারী অধ্যায় হবে।
কোনভাবে ভ্রূণ শনাক্ত করা গেলে মাংসাশী ডাইনোসরের ডিম ফোটার প্রক্রিয়া থেকে ডাইনোসরদের প্রজনন কাঠামো অবধি সবটা জানা যাবে। ডিমটি বর্তমানে গবেষণার কাজে লাগছে। গবেষণা শেষে এটি পাতাগোনিয়ার একটি যাদুঘরে সাধারণ মানুষের প্রদর্শনের জন্য রাখা থাকবে।













