Entertainment

বাড়ি ছাড়তে চাপ, নতি স্বীকারে রাজি নন দক্ষিণী অভিনেত্রী

কাস্টিং কাউচ নিয়ে প্রকাশ্যে উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত করে খবরের শিরোনামে উঠে আসা দক্ষিণী অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডিকে এবার বাড়ি ছাড়তে বললেন বাড়ির মালিক। হায়দরাবাদের হুমায়ুননগর এলাকার একটি বাড়িতে বর্তমানে ভাড়ায় রয়েছেন শ্রী রেড্ডি। ৩৪ বছরের অভিনেত্রীর দাবি, গত শনিবার উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে তিনি প্রতিবাদে সামিল হওয়ার পরই তাঁর বাড়ির মালিক তাঁকে বাড়ি অবিলম্বে খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাড়ির মালিকের এহেন আচরণে বেজায় বিরক্ত শ্রী। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এইভাবে ভয় দেখিয়ে কেউ তাঁর মুখ বন্ধ করতে পারবেননা। বরং তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন। তাঁর এও দাবি, যতদিন অবধি তেলেগু ফিল্ম দুনিয়ায় তাঁর মত নবাগতা আঞ্চলিক অভিনেত্রীদের সুযোগ না দেওয়া হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁর এই প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি সুযোগ দেওয়ার নামে নবাগতাদের প্রযোজক, পরিচালকরা ‘ব্যবহার’ করছেন বলেও দাবি তাঁর। শ্রী দাবি করেছেন তাঁর উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করা নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, অথচ তাঁকে নাকি অনেক সময়েই প্রযোজক, পরিচালকদের সামনে এমনভাবে দাঁড়াতে হয়েছে। ছবি পাঠাতে হয়েছে। তারপরও কাজ পাননি তিনি। শ্রী রেড্ডি তাঁর আন্দোলনে এরমধ্যে পাশে পেয়েছেন তেলেগু চলচ্চিত্র জগতের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্বকেও।

প্রসঙ্গত গত শনিবার সকালে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকার তেলেগু ফিল্ম চেম্বার অফ কমার্স দফতরের সামনে হাজির হন শ্রী রেড্ডি। দফতরের লনে আচমকাই উর্ধ্বাঙ্গের পোশাক ও অন্তর্বাস খুলে ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। তাঁর এহেন প্রতিবাদের কথা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় তেলেগু ফিল্ম জগতে। অভিনেত্রী দাবি করেন, তেলেগু ফিল্ম জগতে স্থানীয় মেয়েদের থেকে অনেক বেশি সুযোগ পান মুম্বই ও অন্য রাজ্যের অভিনেত্রীরা। ফলে তাঁর মত নবাগতারা প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পান না। শ্রী এও দাবি জানান, ছবিতে সুযোগ পেতে বারবার অসম্মানজনক পথে হাঁটতে হয়েছে তাঁকে। তারপরেও মেলেনি কাজ। শ্রী রেড্ডির দাবি, উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে প্রতিবাদ করার পর থেকে তাঁকে নানাভাবে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা চলছে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *