মঙ্গলগ্রহে এভারেস্টের দ্বিগুণ উচ্চতার পাহাড়ের দেখা পেল নাসা, মাথার মেঘ বলল অনেক কথা
মঙ্গলগ্রহের বুকে এক অতিকায় আগ্নেয়গিরির দেখা পেল মার্স অরবিটার ওডিসি। কত বড় তা পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করে বুঝিয়ে দিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হল মাউনা লোয়া। যা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত। মাউনা লোয়ার বিশালত্বই মানুষকে অবাক করে দেয়। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করতে থাকা ওডিসি যান এবার মঙ্গলের বুকে যে আগ্নেয়গিরির দেখা পেয়েছে তা মাউনা লোয়ার দ্বিগুণ বড়।
২০ কিলোমিটার তার উচ্চতা। এই আগ্নেয়গিরির পুরোটা দেখতে পায়নি ওডিসি। দেখা পেয়েছে কেবল তার মাথার। অর্থাৎ তার জ্বালামুখের। মঙ্গলের এই আগ্নেয়গিরির নাম আরসিয়া মনস। যার দেখা মিলেছে মঙ্গলের ওপর জমাট বাঁধা মেঘের মধ্যে।
আরসিয়া মনস-এর জ্বালামুখটি ওই মেঘ ভেদ করে আরও উপরে দেখা যাচ্ছিল। এটির জ্বালামুখও পৃথিবীর অনেক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের চেয়ে বড়।
মঙ্গলের এই বিশাল আগ্নেয়গিরিটির দেখা পাওয়ার পর এটাও জানা যাচ্ছে যে এটির মাথার কাছে প্রায়শই মেঘ জমাট বেঁধে থাকে। মঙ্গলের মাটিতে এফেলিয়ন সময়কাল অর্থাৎ যখন মঙ্গলগ্রহ সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে, সেই সময় আরসিয়া মনস সবচেয়ে বেশি পুরু মেঘে ঢাকা থাকে।
ওডিসি পুরো আগ্নেয়গিরিটির দেখা পায়নি। বরং তার মাথার অংশ দেখতে পেয়েছে। বাকিটা মেঘে ঢাকা। নাসার বিজ্ঞানীরা এই মেঘ থেকে মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া সম্বন্ধে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তাঁদের আশা, এই জমাট মেঘ মঙ্গলগ্রহের আরও অনেক অজানা তথ্য সম্বন্ধে তাঁদের জানতে সাহায্য করবে।