World

মৃত সেনাপ্রধানই দিল্লি হামলায় দায়ী, চমক দিয়ে বিতর্কে মোড় ঘোরালেন ট্রাম্প

চমকে দেওয়ার মত দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত ইরানের সেনাপ্রধান কাসেম সোলেইমানি-কে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পই। পেন্টাগন একথা বিবৃতি দিয়ে পরিস্কার করার পরই ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান আয়াতোল্লা খামেনেই জানিয়ে দেন এর প্রতিশোধ তাঁরা নেবেন। ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। খামেনেই-এর ঘোষণার পরই বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয় পর্যন্ত পেতে শুরু করেছেন। তারমধ্যেই এবার নয়া তথ্য সামনে এনে চমকে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প দাবি করেছেন দিল্লি ও লন্ডনে যে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল তার পিছনে কাসেমের মদত ছিল। কাসেম একজন হত্যা প্রিয় মানুষ ছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে ট্রাম্প দিল্লিতে ঘটে যাওয়া কোন সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা বলতে চেয়েছেন? কারণ সেটা ট্রাম্প পরিস্কার করেননি। মনে করা হচ্ছে ২০১২ সালে দিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসে যে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তার কথাই ট্রাম্প হয়তো বলতে চেয়েছেন।


বিশেষজ্ঞদের মতে দিল্লির প্রসঙ্গ টানার মধ্যে ট্রাম্পের অন্য কারণ থাকতে পারে। ইরান থেকে ভারতে তেল আমদানি হয়। ভারতকে অন্যতম তেল প্রদানকারী রাষ্ট্র ইরান। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ভারতের পক্ষে দুম করে ইরানের বিরোধিতা করা মুশকিল। এদিকে এশিয়ায় অন্যতম বৃহৎ সামরিক শক্তির নাম ভারত। আমেরিকা চাইবেই যে ভারত তাদের পক্ষ নিক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button