SciTech

কম্পিউটারের জগতে বিশ্বরেকর্ড গড়ল ভারতের বিস্ময় বালক

বিস্ময় বালক বললেও বোধহয় কম বলা হয়। কম্পিউটারের জগতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে মাত্র ৬ বছরের এক ভারতীয় বালক। ইতিমধ্যেই গিনেস বুকে নাম উঠেছে তার।

আমেদাবাদ : মাত্র ২ বছর বয়সে অনেক শিশুর হাতেখড়ি হয়। অক্ষর লিখতে শেখে তারা। কিন্তু এ ছেলের ২ বছর বয়সে কম্পিউটারে হাতেখড়ি হয়ে গিয়েছিল। তখন থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন গ্যাজেট নিয়ে চালিয়ে দেখা। যা অবশ্যই তার বাবার উৎসাহে।

বাবাই তাকে শেখান কীভাবে কম্পিউটার চালাতে হয়। এরপর গেম খেলা থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সম্বন্ধে জানতে শেখা চলতে থাকে। ইতিমধ্যে সে স্কুলেও পা রাখে। শুরু হয় প্রথাগত পড়াশোনা। কিন্তু তার সঙ্গে কম্পিউটারে ছিল তার অমোঘ আগ্রহ।


এরমধ্যেই সে জানতে পারে তার বাবা পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের ওপর কাজ করছেন। সেও শুরু করে বাবার কাছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা। অবশেষে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের ওপর একটি পরীক্ষা দেয় সে।

সেই পরীক্ষায় মাত্র ৬ বছর বয়সেই সফল হয় আরহাম ওম তালসানিয়া। এই সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গেই তার নাম উঠে যায় গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ। বিশ্বজুড়ে চর্চা শুরু হয় ভারতের এই বিস্ময় বালকের।

আমেদাবাদের বাসিন্দা আরহাম এখন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। বয়স প্রায় ৭-এর কাছে। গিনেস বুক জানিয়েছে আরহামই হল বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তার সার্টিফিকেটও পেয়ে গিয়েছে গিয়েছে সে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম তার সাক্ষাৎকারও নিয়ে ফেলেছে। চোখে চশমা আঁটা বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার আরহাম কিন্তু সব জায়গায় তার এই সাফল্যের পিছনে তার বাবার পাশে থাকাকেই তুলে ধরেছে।

আরহাম কিন্তু কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি এখনই শিখে গেছে নিজের জন্য ছোটখাটো গেম তৈরি করার কাজ। কম্পিউটার নিয়েই কেরিয়ার গড়তে চায় ছোট্ট আরহাম।

আরহাম জানিয়েছে বড় হয়ে সে অ্যাপ বানাতে চায়। চায় কোডিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে। বড় হয়ে সে দরিদ্র মানুষের সেবা করতে চায় বলেও জানিয়েছে আরহাম।

ভারতের এই ক্ষুদে প্রতিভার কথা কিন্তু ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এই অসামান্য প্রতিভার তারিফ করছেন সকলেই।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button