SciTech

পৃথিবীর বুকে প্রাণের শুরু পুকুরে, যুগান্তকারী দাবি বিজ্ঞানীর

নতুন গবেষণা পৃথিবীর বুকে জীবনের উৎস সন্ধানের অনেক ধারনা বদলে দিতে পারে। যুক্তি যদি সঠিক হয় তবে কিন্তু আগামী দিনে এ গবেষণা অন্য মাত্রা পাবে।

এটা দীর্ঘদিনের ধারনা যে পৃথিবীর বুকে জীবনের স্পন্দন শুরু হয় মহাসমুদ্রে। কারণ মহাসমুদ্রে রয়েছে জীবন সৃষ্টির অন্যতম উপাদান নাইট্রোজেন। কিন্তু সেই ধারনায় এবার থাবা বসালেন এক ভারতীয় গবেষক।


ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি-র গবেষক সুকৃত রঞ্জন দাবি করেছেন, যদি নাইট্রোজেনই হয় জীবনের প্রধান উৎস উপাদান। তাহলে জীবনের প্রথম সৃষ্টি মহাসমুদ্রের চেয়ে পুকুরে হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

গবেষণা বলছে, জীবনের উৎস নাইট্রোজেনাস অক্সাইড অনেক বেশি পরিমাণে থাকে পুকুরে। কারণ সেখানে অগভীর জল থাকে। আর অগভীর জলে বেশি পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেনাস অক্সাইড।



নতুন এই গবেষণা কিন্তু পৃথিবীর বুকে জীবনের উৎস সন্ধানের অনেক ধারনা বদলে দিতে পারে। আপাতত গবেষণালব্ধ দাবি হলেও, যুক্তি যদি সঠিক হয় তবে কিন্তু আগামী দিনে এ নিয়ে গবেষণা অন্য মাত্রা পাবে।

ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি-র বিজ্ঞানীরা বলছেন সমুদ্রের ওপর বিদ্যুতের ঝলকানি জলে নাইট্রোজেনাস অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করত।

কিন্তু সূর্যের থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি ও জলে গুলে যাওয়া লৌহ উপাদান জলের তলার পাথরের গায়ে লেগে থাকা বিপুল পরিমাণ নাইট্রোজেনাস অক্সাইডকে খসিয়ে দেয়। ফলে মহাসমুদ্রে নাইট্রোজেনাস অক্সাইড কমে যায়।

গবেষণা বলছে, সমুদ্রে থাকে বিপুল পরিমাণে জলরাশি। ফলে নাইট্রেজেনাস অক্সাইড খয়ে গিয়ে জলে দ্রবীভূত হয়ে তার ক্ষমতা হারায়। কিন্তু পুকুরে জল কম থাকে।

এই ধরনের জলরাশি অগভীর হয়। ফলে পুকুরের জলে বিপুল পরিমাণে নাইট্রোজেনাস অক্সাইড জমা হয়। যা প্রাণের জন্ম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button