World

লুকিয়ে বট দেখে পড়াচ্ছেন অধ্যাপক, টিউশন ফি ফেরত চাইলেন ছাত্রী

এআই-এর সাহায্য তো এখন অনেকেই নেন। তা বলে একটি বিষয় পড়াতে অধ্যাপকেরও সেটা লাগবে কেন? বিষয়টি সামনে আসার পর গোটা দুনিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

বর্তমান যুগের ছাত্রছাত্রীরা হালফিল অ্যাপগুলি সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁদের এগুলি বুঝতে বা ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়না। সেই ধারনাই কাল হল এক শিক্ষকের জন্য।

তিনি কলেজে বিজনেস বিষয়টি পড়ান। বিভিন্ন বিষয়ে নোট দেন। এক ছাত্রীর তাঁর দেওয়া সেই নোট দেখে সন্দেহ হয়। তাঁর মনে হয় শিক্ষক যে নোটগুলি ক্লাসে দিচ্ছেন সেগুলি একটু অন্যরকম। যার লেখা, ছবি সবই তাঁকে কৌতূহলী করে তোলে।

ওই ছাত্রী ওই নোটগুলি আরও খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। আর তা করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন সেগুলি চ্যাটজিপিটি নামে এআইবট-এর সাহায্য নিয়ে লেখা হয়েছে।

অধ্যাপক সেগুলি জোগাড় করেই ক্লাসে পড়াচ্ছেন। আরও নিশ্চিত হতে ওই ছাত্রী তাঁর আর এক বন্ধুকে বিষয়টি জানিয়ে নোটের ছবি পাঠান। সেই বন্ধুও বিষয়টি বুঝে অবাক হয়ে যান।

আমেরিকার নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই স্নাতক ছাত্রী এরপর ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ যে উন্নতমানের শিক্ষা তিনি চাইছিলেন তা তাঁকে দেওয়া হয়নি।

তিনি টিউশন ফি বাবদ দেওয়া ৮ হাজার ডলার ফেরত চান ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মতন।

ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর বৈঠকে বসলেও টাকা ফেরতের দাবি নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত ওই অধ্যাপকও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি ক্লাস করাতে চ্যাটজিপিটি-র সাহায্য নিয়েছিলেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *