SciTech

প্লাস্টিকের বোতল-ব্যাগ থেকে জ্বালানি তৈরি করলেন গবেষকরা

প্লাস্টিকের মধ্যে প্রচুর হাইড্রোজেন থাকে। ভবিষ্যতে এই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকই পৃথিবীকে জ্বালানি উপহার দেবে। আর তা হবে এক যুগান্তকারী ঘটনা।

সারা দিনে পৃথিবী জুড়ে টন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। সেসব প্লাস্টিক গলিয়ে নতুন করে প্লাস্টিক তৈরি করে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিছুটা প্লাস্টিকের থেকে বিষক্রিয়া অনেক ক্ষতি করছে। কিন্তু প্রতিদিনের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক থেকে একদিন মানুষকে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখালেন একদল গবেষক।

তাঁদের দাবি, এই বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে বিমানের জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব। তা নিয়ে তাঁরা গবেষণাও অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছেন।


ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি-র গবেষকরা দাবি করছেন, প্লাস্টিকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন থাকে। যা হল জ্বালানির অন্যতম উপকরণ।

উচ্চ উত্তাপে অ্যাক্টিভেটেড কার্বন দিয়ে প্লাস্টিকগুলি গলিয়ে তা থেকে জ্বালানি তৈরি সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। গবেষকদের দাবি, এটা বাস্তবায়িত হলে তা অত্যন্ত সহজ একটি জ্বালানি তৈরির পদ্ধতি হিসাবে সামনে আসতে পারে। যে জ্বালানি দিয়ে বিমানও চালানো যাবে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন প্রথমে তাঁরা ফেলে দেওয়া জলের বোতল, দুধের বোতল, প্লাস্টিক ব্যাগ সহ নানা প্লাস্টিক জঞ্জাল জড়ো করেন। তারপর তা চাপের মাধ্যমে ছোট ছোট চালের দানার মত আকারে এনে ফেলেন।

এবার সেই দানাগুলোকে একটি টিউব রিয়াক্টরে অ্যাক্টিভেটেড কার্বনের ওপর ফেলে ৪৩০ থেকে ৫৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলাতে থাকেন। প্লাস্টিক সহজে ভাঙা যায়না। তাই তা তরান্বিত করতে অনুঘটক লাগে। যেই অনুঘটকের কাজটা করে কার্বন।

গবেষকরা জানিয়েছেন তাঁদের পরীক্ষা থেকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভাল যে ফলাফল উঠে এসেছে তা হল একসময় তাঁরা ৮৫ শতাংশ জেট জ্বালানি ও ১৫ শতাংশ ডিজেল তৈরি করতে সক্ষম হন।

এখান থেকেই তাঁদের আশা আগামী দিনে এই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকই পৃথিবীকে বিমানের জ্বালানি উপহার দেবে। আর তা সত্যি হলে তা হবে এক যুগান্তকারী ঘটনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button