২৭টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা গ্রামের জীবন বদলে দিচ্ছে সেজে ওঠা ৯০০ দিঘি
একটু অবাক করা শুনতে হতে পারে। দিঘি সেজে ওঠার সঙ্গে গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের কি সম্পর্ক। তবে সম্পর্ক যে গভীর তার প্রমাণ মিলল বাস্তবে।

২০২১ সালে শুরু হয় উদ্যোগ। অনেক দিঘি রয়েছে রাজ্য জুড়ে। তবে তাদের বেহাল দশা। এতটাই খারাপ যে সেখানকার জল ব্যবহারও মুশকিল ছিল। এই সময় দক্ষিণের রাজ্যের প্রতিটি কোণায় এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকা দিঘিগুলির সংস্কারে মন দেয় ২০২১ সালে সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসা সরকার।
তারা দ্রুত এসব দিঘি সংস্কার শুরু করে। যার ফল হল এখনও ৯১৭টি দিঘি সংস্কার করে ফেলেছে তামিলনাড়ু সরকার। যে দিঘির দিকে কেউ চেয়ে দেখতেন না, সেসব দিঘিতে এখন টলটলে জলে আলতো ঢেউ খেলে বেড়ায়।
এগুলির হাত ধরে সে রাজ্যে অনেক বেশি কৃষি জমিতে জলসেচ করা যাচ্ছে। যা আদপে সেই জল পাওয়া জমিতে কৃষিকাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে সে রাজ্যে ফলন হওয়া জমি বেড়েছে বলা যেতেই পারে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে তামিলনাড়ুতে ৩৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে জলসেচ হত। যা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে ৩৮.৩৩ লক্ষ হেক্টর জমি। সে রাজ্যের সরকার নিয়ন্ত্রিত জলসেচ, খালে পরিমাণ মত জল থাকা, এসব মাথায় রেখে ২৪টি জেলায় ৮৮টি চেক ড্যাম তৈরি করেছে।
যার ফলে এখন সে রাজ্যে কৃষি জমিতে জলসেচের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছেন কৃষকরা। যে জলের অন্যতম যোগান আসছে ওই সংস্কার হওয়া দিঘি থেকে।
কার্যত সে রাজ্যে ওই ৯০০-র ওপর দিঘির সংস্কার কৃষিক্ষেত্রে নতুন জোয়ার এনেছে। আর তার প্রতিফলন শেষ অর্থবর্ষে তামিলনাড়ুর মোট কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি থেকেই পরিস্কার।
এই দিঘি সংস্কার সে রাজ্যের গ্রামগুলিতে জীবনযাত্রারা মানোন্নতি ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে যেমন জোর দিয়েছে তেমনই এর হাত ধরে মৎস্য চাষও অনেকটা অক্সিজেন পেয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা