National

দেশে ১০০-র নিচে মৃত্যু, দেড় লক্ষের নিচে অ্যাকটিভ রোগী

দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর একটা নিম্নমুখী ধারা বজায় রয়েছে। গত একদিনে দেশে মোট করোনায় মৃত্যু নেমে এল ১০০-র নিচে।

নয়াদিল্লি : জানুয়ারি মাস জুড়েই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে। ১০ হাজারি ঘরে ২ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে জানুয়ারির একটা অংশ জুড়ে ১৫ হাজারের নিচে ঘুরেছে সংক্রমণ।

সেই ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খাওয়া সংক্রমণের সংখ্যা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় দিনেই ১০ হাজারের চেয়েও কিছুটা নিচে নেমে যায়। যা অবশ্য বজায় থাকেনি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এদিন একদিনে সংক্রমিত হলেন ১১ হাজার ৭১৩ জন। দেশে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।

রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন ১ কোটি ৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৩০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।

ফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৯০ জনে। একদিনে কমেছে ২ হাজার ৮৭০ জন। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৩৭ শতাংশে।

নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ২০০-র নিচেই থাকছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতেই একবার একদিনে মৃত্যু ১০০-র নিচে নামে। ফের তা এদিন ১০০-র নিচে নামল।

এদিন মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯১৮টি। ১.৪৩ শতাংশে রয়েছে মৃত্যুর হার।

এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে বাংলা। গত একদিনে রাজ্যে ২ জনের মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গকে অনেকটা পিছিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। দেশজুড়ে ৯৫ জন মৃতের মধ্যে শুধু এই ২ রাজ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ৪৮৮ জন।

এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৭৯৬ জন। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই সুস্থতার হার পৌঁছে গিয়েছিল ৯৭ শতাংশে। এদিন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.১৯ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More