ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ৯৭ শতাংশে পৌঁছল দেশে সুস্থতার হার
দেশে এখন সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই ৯৭ শতাংশ ছুঁল সুস্থতার হার। ক্রমশ কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও।
নয়াদিল্লি : জানুয়ারি মাস জুড়েই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেল। ১০ হাজারি ঘরে ২ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা।
তবে জানুয়ারির একটা অংশ জুড়ে ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে সংক্রমণ। এখন বেশ কিছুদিন ধরেই ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খাওয়া সংক্রমণ সংখ্যা ফেব্রুয়ারির শুরুতেও সেই ধারাই বজায় রাখল।
একদিনে সংক্রমিত হলেন ১১ হাজার ৪২৭ জন। দেশে ৫ লক্ষ ৪ হাজার ২৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।
ফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৩৫ জনে। একদিনে কমেছে ৫৪৯ জন। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫৬ শতাংশে।
নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ২০০-র নিচেই থাকছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩৯২ জন। ১.৪৪ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৮৫৮ জন। যার হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৮৩ জন।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই সুস্থতার হার পৌঁছে গেল ৯৭ শতাংশে। দেশে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা