Kolkata

বাংলায় লগ্নি করুন, বাংলা আপনাদের সবরকম সাহায্য দেবে, শিল্পপতিদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

একপাশে কখনও লক্ষ্মী মিত্তল, কখনও সজ্জন জিন্দল, অন্যপাশে মুকেশ আম্বানি। ফাঁকে ফাঁকেই চলল হাসিমুখে খোশগল্প। মাঝে বসে মুখ্যমন্ত্রী। গোটা এরিনা জুড়ে শিল্প জগতের হুজ হু-দের ভিড়। এদিন নিউটাউনে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কার্যতই মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়ে দিলেন বাংলায় ব্যবসা আনতে কীভাবে দেশের ‘ক্রিম অফ ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট’-দের একছাদের তলায় আনা যায়। তাও চোখে আঙুল দিয়ে কেন্দ্রীয় ‘বয়কট’-এর পরও!

বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যে লগ্নি আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ এই মুহুর্তে গোটা দেশের নজর কাড়ছে। এদিন দেশের তাবড় শিল্পপতি সহ ইতালি, গ্রেট ব্রিটেন, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড সহ ৩০টি দেশের শিল্প প্রতিনিধিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে বাংলায় লগ্নির সুবিধার কথা। শিল্পপতিদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের লগ্নিকে সুরক্ষিত করতে কতটা উৎসাহী। রাজ্যে শেষ ৬ বছরে ৮১ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পপতিরা এখানে লগ্নি করলে রাজ্যে কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে। নতুন প্রজন্ম কাজ করতে মুখিয়ে আছে। তারাই রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করবে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাজ্যে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত, এমএসএমই-তেও রাজ্য এগিয়ে। রয়েছেন দক্ষ শ্রমিকও। আর সর্বোপরি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস। শিল্প গড়তে যা যা লাগে তা সাজিয়ে বসে আছে বাংলা। এটাই বারবার তুলে ধরার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন লগ্নি করবেন শিল্পপতিরা? এ রাজ্যেই বা কেন? অন্যত্র নয় কেন? তারও উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ ৩টি দেশের সঙ্গে তাদের সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে। উত্তর পূর্বের প্রবেশদ্বারও এই রাজ্য। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দাবি আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্যও ভারত থেকে প্রবেশদ্বারের ভূমিকা পালন করছে পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্য শিল্পপতিদের জন্য একটি ‘স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন’। ফলে লগ্নিতে বাধা কোথায়! এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বাংলায় লগ্নি করুন, বাংলা আপনাদের সবরকম সাহায্য দিতে প্রস্তুত।

(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – এআইটিসি অফিসিয়াল)

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *