World

বন্দির পাকস্থলী থেকে উদ্ধার হল নোকিয়া ফোন

এক জেলবন্দির পাকস্থলী থেকে উদ্ধার হল একটি আস্ত নোকিয়া ফোন। পুরনো মডেলের ফোনটি সে গিলে ফেলেছিল কীভাবে তার খোঁজ চলছে।

এক জেলবন্দি কয়েকদিন ধরেই পেটের যন্ত্রণা বলে জানাচ্ছিল। যন্ত্রণা চরমে ওঠার পর তাকে জেল থেকেই চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়। তিনি সব দেখে একজন গ্যাসট্রোএন্টেরোলজিস্ট-এর কাছে পাঠান।


তিনি পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে পাকস্থলীতে আটকে আছে একটি আস্ত নোকিয়া ফোন। যা নিয়ে রীতিমত চিন্তায় পড়েন চিকিৎসকেরা।‌

কারণ শুধু ফোনটি নয়, তার সঙ্গে তার ব্যাটারিও রয়েছে। যা পেটে লিক করতে শুরু করতে পারে। যার জেরে পেটে ভয়ংকর অ্যাসিড ছড়িয়ে পড়তে পারে। যা থেকে হতে পারে মৃত্যুও।



চিকিৎসকদের একটি দল তৈরি করে অপারেশনের বন্দোবস্ত হয়। তবে পেট পুরো কাটা হয়নি। চিকিৎসকেরা অপারেশন করে ফোনটিকে কয়েকটি খণ্ডে বার করে আনেন।

যে চিন্তা সবচেয়ে বেশি ছিল যে ফোনের ব্যাটারি লিক করেছে কিনা, চিকিৎসকেরা দেখেন সেটা সম্ভবত হয়নি। ৩৩ বছরের ওই বন্দি অপারেশনের পর ভালই আছে।

কীভাবে তার পেটে গেল ফোনটি? নোকিয়ার পুরনো ওই মডেলের ফোন স্মার্ট ফোন তালিকায় পড়েনা। পুরনো সময়ের মোবাইল ফোন ছিল এটি।

ওই বন্দি জানিয়েছে আচমকাই সে গিলে ফেলে ফোনটি। যদিও পুলিশ তা মনে করছে না। ফোনটি সে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে গোপনে ব্যবহার করত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

এমন হতে পারে যে কেউ দেখে ফেলার আতঙ্কে লুকোতে গিয়ে মুখে ঢুকিয়ে তা গিলে ফেলে সে। যদিও পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button