World

বিরক্ত হয়ে পাশের বেডের রোগিণীর অক্সিজেন মেশিন বন্ধ করে দিলেন বৃদ্ধা

পাশের বেডে এক মরণাপন্ন বৃদ্ধা শুয়ে। অক্সিজেন মেশিন চলছে তাই তাঁর শ্বাস চলছে। সেখানে বিরক্ত হয়ে পাশের বেডের রোগিণী বৃদ্ধার অক্সিজেন মেশিন বন্ধ করে দিলেন।

হাসপাতালে সার দিয়ে বেড। সেখানে শুয়ে আছেন মহিলা রোগীরা। সেই ফিমেল ওয়ার্ডে ২ বৃদ্ধা পাশাপাশি চিকিৎসারত ছিলেন। সেখানে ৭৯ বছরের এক বৃদ্ধার অক্সিজেন চলছিল। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি এমনই যে কিছুক্ষণ অক্সিজেন বন্ধ করলে তাঁর প্রাণ বায়ু নির্গত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অক্সিজেন ছাড়া গতি নেই।


এদিকে যে মেশিনটির সাহায্যে ওই বৃদ্ধাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল সেটি থেকে একটি একঘেয়ে আওয়াজ নির্গত হচ্ছিল। পাশের বেডে শুয়ে থাকা ৭২ বছরের এক বৃদ্ধা রোগিণীর তা একেবারেই ভাল লাগেনি। বিরক্ত হচ্ছিলেন তিনি।

প্রথমে তা বন্ধ করতে বলেন তিনি। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় বলে তাঁকে জানানো হয়। অভিযোগ, এরপর নিজেই উঠে মেশিনটি ওই ৭২ বছরের বৃদ্ধা বন্ধ করে দেন।



বিষয়টি নজরে আসতেই দ্রুত ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্সরা মেশিনটি ফের চালু করে দেন। কিন্তু তাঁরা সেখান থেকে যেতেই ফের উঠে সেটি বন্ধ করে দেন ওই বিরক্ত বৃদ্ধা।

এরপর অবশ্য অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা বৃদ্ধাকে দ্রুত আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে হয়। অন্যদিকে যিনি অক্সিজেন মেশিনটি বন্ধ করেছিলেন ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়।

হত্যার চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করলে আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানির ম্যানহাইম শহরের একটি হাসপাতালে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button