Entertainment

চলে গেলেন শক্তি ঠাকুর, রেখে গেলেন তাঁর গান আর অভিনয়

একাধারে তিনি গায়ক। একাধারে তিনি অভিনেতা। বাংলা সংস্কৃতি জগতের সেই নক্ষত্রের জীবনাবসান হল।

কলকাতা : চলে গেলেন শক্তি ঠাকুর। ছোটোখাটো চেহারার মানুষটি কিন্তু বাংলা সংস্কৃতি জগতকে দিয়ে গেলেন অনেক কিছু। দিয়ে গেলেন তাঁর অসামান্য কিছু অভিনয়। দিয়ে গেলেন চিরদিনের হয়ে থাকা অনেক গান।

গায়ক ও অভিনেতা হিসাবে সমান সফল তিনি। গত রবিবার তাঁর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাঁর বড় মেয়ে মেহুলি ঠাকুর শক্তি ঠাকুরের মৃত্যুর কথা জানান। মেহুলি নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। বারবার ভেঙে পড়েছেন।

সোশ্যাল সাইটে মেহুলি জানিয়েছেন শক্তি ঠাকুর চলে গেলেন রাজার মত। সামান্য সময়ের মধ্যেই সব শেষ। শক্তি ঠাকুর অবশ্য বেশ কিছুদিন হল নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।

শক্তি ঠাকুর অত্যন্ত গর্বিত ছিলেন তাঁর ছোট মেয়ের সাফল্যে। মোনালি ঠাকুর যে দেশের একজন প্রথম সারির গায়িকা হয়ে উঠতে পেরেছেন তাতে শক্তি ঠাকুর ভীষণ তৃপ্ত ছিলেন। সেই সদা হাসিমুখের মানুষটা চলে গেলেন।

দাদার কীর্তি সিনেমায় তাঁর অভিনয় এখনও মানুষের চোখে ভাসে। মানুষ এখনও তাঁকে ভালবাসেন। তাঁর অভিনয়, গান চোখের সামনে ভাসে।

ছোট মেয়ে মোনালি ঠাকুর ভেঙে পড়েছেন তাঁর বাবার মৃত্যুতে। সোশ্যাল সাইটে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে লিখেছেন একটি নোট। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন কীভাবে তাঁর বাবার কাছে তাঁর গানের শিক্ষা। কীভাবে শিখেছেন মনুষ্যত্ব।

এত নরম মনের মানুষ তিনি কখনও দেখেননি বলে জানিয়েছেন মোনালি। জানিয়েছেন তাঁর বাবা ছিলেন তাঁর সবচেয়ে বড় সমালোচক, আবার সাফল্যে সবচেয়ে বেশি খুশিও হতেন তিনিই।

শক্তি ঠাকুর যে কত বড় প্রতিভার নাম তাও তুলে ধরেছেন মোনালি। মোনালি লিখেছেন তাঁকে তাঁর বাবার মত কেউ ভালবাসবে না। একজন রাজার মতই তিনি চলে গেলেন।

‘মোহ মোহ কে ধাগে’ গানের জন্য মোনালি জাতীয় পুরস্কার পান। যা তাঁর বাবাকে গর্বিত করেছিল। শক্তি ঠাকুরের চলে যাওয়া বাংলার সংস্কৃতি জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *