National

আজীবন লকডাউনের হতাশায় কাঁদে, পালক ছেঁড়ে পাখিরা

করোনায় মানুষ বুঝেছেন লকডাউন তাঁদের কতটা স্বাধীনতা হরণ করে। পেটা বলছে আজীবন লকডাউনের হতাশায় কাঁদে, পালক ছেঁড়ে পাখিরা। ভেবে দেখার আর্জি পেটার।

লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষ বুঝেছেন কয়েকদিনের জন্যও তাঁদের বন্দি করে দিলে কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠে জীবন। বহু মানুষ লকডাউনের কারণে হতাশায় ডুবে গেছেন। অনেকে বিরক্ত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন লকডাউনের মাঝেই।


সেকথা মনে করিয়েই পেটা-র প্রশ্ন কেউ কি আজীবন লকডাউনে থাকার কথা কল্পনা করে দেখেছেন? এই কটা কথা লেখা বোর্ড তাঁরা টাঙিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরের পাখির বাজারে।

বার্তা একটাই, মানুষ কদিনের লকডাউনে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। তাহলে সেই পাখিদের কী অবস্থা যারা আজীবন খাঁচায় বন্দি থেকে লকডাউনের জীবন কাটায়! এর মধ্যে দিয়ে মানুষকে পাখি পোষার জন্য না কিনতে ও পোষা পাখি থাকলে তাদের প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দেওয়ার বার্তা দিয়েছে পেটা।



পেটা ইন্ডিয়ার সিনিয়র ক্যাম্পেনস কোঅরডিনেটর রাধিকা সূর্যবংশী জানান, পাখিরা খাঁচায় থেকে এক সময় বুঝতে পারে যে তারা আর মুক্তি পাবেনা। আজীবন লকডাউনেই কেটে যাবে তাদের জীবন। আর তা বুঝতে পারলে তারা হতাশায় নিজেদের পালক নিজেরাই টেনে ছিঁড়ে দেয়। এমনকি কাঁদেও।

এমনও দেখা গেছে যে হতাশা তেকে তারা মারাও যায়। সেকথা মনে করিয়ে পাখিদের স্বাধীনভাবে প্রকৃতির বুকে বাঁচতে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে পেটার পক্ষ থেকে।

মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে পাখিরা প্রকৃতির বুকে ভেসে বেড়ায়, শিস দেয়, বাসা তৈরি করে, সন্তানদের বড় করে। সেই স্বাধীনতা যেন তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া না হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button