World

বাড়িতে আগুন লেগেছে, দ্রুত আসুন, ফোন পেয়েও পাত্তা দিল না দমকল

আগুনের শিখা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাইরে থেকে। ঘর থেকে বার হচ্ছে ধোঁয়াও। বাইরে থেকে তা দেখে দমকলে ফোন করেন প্রতিবেশিরা। কিন্তু ফোনে সব শুনেও নির্বিকার রইল দমকল।

তখন সন্ধে পার করে গেছে। এলাকার একটি বাড়িতে আচমকাই আগুন জ্বলতে দেখেন প্রতিবেশিরা। বাইরে থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাড়ির মধ্যে আগুন জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখাও দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন দিক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে ধোঁয়া।


এমনই আতঙ্কের দৃশ্য দেখে দ্রুত দমকলে ফোন করেন এক প্রতিবেশি। তিনি জানান, তাঁদের কাছেই একটি বাড়িতে আগুন লেগেছে। দমকল যেন যত দ্রুত সম্ভব হাজির হয়।

কিন্তু যিনি দমকলে ফোন করে এই খবর দেন তাঁকে অবাক করে দমকলের উল্টোদিকের আচরণ। বিষয়টিকে আদৌ গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিলেন দমকলকর্মীরা।



ওই বিব্রত ব্যক্তিকে নিশ্চিন্ত করে দমকল জানিয়ে দেয় ওটা আগুন নয়। ওই বাড়িতে আগুন লাগেনি। ওটা হ্যালোউইন উপলক্ষে এক দারুণ উদযাপন।

এটা পুরোটাই হচ্ছে এফেক্টের মাধ্যমে। যাতে বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছে বাড়িতে আগুন লেগেছে। আর ধোঁয়া বাইরে বেরিয়ে আসছে। ওই বাড়িটিতে সত্যিই আগুন লাগলে একটি যন্ত্র লাগানো আছে যা সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে সতর্ক করে দেবে।

বাড়ির কর্তা এই উদ্ভট এবং দারুণ আইডিয়াটা পেয়েছিলেন ডিজনিল্যান্ডে গিয়ে। সেখানে পাইরেটস অফ দ্যা ক্যারিবিয়ান রাইড থেকে।

বাড়ির বাইরে থাকা বা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য খুব বেশি কিছু লাগেনি। লেগেছে একটি শিফন কাপড়, একটি লাল আলো, একটি কমলা আলো আর একটি ফ্যান। ব্যস এই দিয়েই পুরো এফেক্ট তৈরি করা হয়েছে।

বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ধোঁয়া। আর সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে একটি আবহ। যা দেখে যে কেউ ধোঁকা খেতে পারেন। আর সেটাই হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ওই বাড়িতে।

প্রসঙ্গত হ্যালোউইন উপলক্ষে মানুষজন উদ্ভট সাজেন, উদ্ভটভাবে সাজানো হয় বাড়ি, অনেকেই বাড়ির সামনে কুমড়ো রেখে তার মধ্যে আলো জ্বালিয়ে এক আধিভৌতিক পরিবেশ তৈরি করেন। বলা ভাল এ হল পাশ্চাত্যের ভূতচতুর্দশী।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button