World

আকাশ থেকে পাওয়া গেল গহন জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার খোঁজ

অতি গহন জঙ্গল। সেখানে প্রবেশ করাই কঠিন। সেই জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতার খোঁজ আকাশ পথে পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা হয়তো ইতিহাস বদলে দিতে পারে।

মায়া সভ্যতার কথা অনেকেরই জানা। দক্ষিণ আমেরিকার এই প্রাচীন সভ্যতার ভিত এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তা রমরমিয়ে তাদের দাপট চালিয়ে যায় শতকের পর শতক ধরে। সাধারণভাবে গহন অরণ্যের মধ্যে তৈরি হত মায়া সভ্যতার প্রাচীন বসতি।


তেমনই এক গহন জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ২ হাজার বছর আগে মায়া সভ্যতার একটি জনবসতি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেকথা কারও জানা নেই।

গুয়াতেমালার এই গহন অরণ্যে ঢোকাই দায়। এতটাই ঘন সে জঙ্গল। সেই জঙ্গলের ওপর আকাশপথে পাক খাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে চলছিল জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা কোনও অজানা তথ্যের খোঁজ। যা চালানো হচ্ছিল এক বিশেষ ধরনের লেজার ব্যবহার করে। যাকে বলা হচ্ছে লাইডার।



এই অত্যাধুনিক লেজার দিয়ে জঙ্গলের মধ্যের মাটিরও তলায় কি আছে তার খোঁজ চালানো হচ্ছিল। আর তা করতে গিয়েই আচমকা আকাশপথেই বিজ্ঞানীরা দেখেন জঙ্গলের মাঝে এক জায়গায় মাটির তলায় রয়েছে বাড়িঘর। যা মাটির তলায় চাপা পড়ে গেছে।

সেই মাটির তলায় থাকা অংশ পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন সেখানে রয়েছে আস্ত একটি বসতি। যেখানে প্রায় ১ হাজার মানুষের বাস ছিল।

সেখানে রমরম করে ব্যস্ত জনজীবন ছিল মাত্র ২ হাজার বছর আগেও। মায়া সভ্যতার এই বসতি চিনতে অসুবিধা হয়নি বিশেষজ্ঞদের। ফলে এক অনন্য খোঁজ মিলল এক ঘন জঙ্গলের মধ্যে। সেখানেও মাটি চাপা পড়ে থাকা সভ্যতার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button