Let’s Go

বাংলার মন্দির শহরের নাম জানেন, ছোট্ট ছুটিতেই ঘুরে আসতে পারেন

বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, যে প্রান্তেই যাওয়া যাক বিখ্যাত সব মন্দির রয়েছে। তবে বাংলার একটি শহরই মন্দির শহর নামে বিখ্যাত।

ভারতে মন্দির ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। ভুবনেশ্বরকে ভারতের মন্দির শহর বলে ডাকা হয়। বারাণসী জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত সব মন্দির। তবে বাংলার নিজস্ব একটি মন্দির শহর রয়েছে। যাকে পশ্চিমবঙ্গের মন্দির শহর বলে ডাকা হয়। মল্ল রাজবংশ রাজত্ব করার সময় তারা এখানে এক বিশেষ শিল্পরীতির প্রচলন করে।

যা পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বে সমাদৃত। বাংলার টেরাকোটা শিল্পের কথা বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তের মানুষ জানেন। এই টেরাকোটা শিল্প বাংলার একটি প্রান্তে বিখ্যাত।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর এই টেরাকোটা শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই কম বেশি মন্দির থাকলেও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরকেই বলা হয় মন্দির শহর।

বিষ্ণুপুরের মন্দিরের গায়ে টেরাকোটা শিল্পকীর্তি থেকে শুরু করে টেরাকোটার নানা পুতুল ও জিনিসপত্র পৃথিবী বিখ্যাত। বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার ঘোড়া ভারতীয় শিল্পকীর্তির প্রতীক হিসাবে বিখ্যাত। টেরাকোটার ঘোড়া ডাকটিকিটেও জায়গা পেয়েছে।

বিষ্ণুপুর বেড়াতে যাওয়ার জন্যও দারুণ এক স্থান। যেখান ৪০০ বছর পুরনো রাধাকৃষ্ণ মন্দির বহু পর্যটককে টেনে আনে বিষ্ণুপুরে। এছাড়া এখানকার হাতের কাজ, শাড়ি বিখ্যাত।

Bishnupur
বিষ্ণুপুর, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

রাজ্যের অনেক শহর গ্রামেই অনেক বিখ্যাত মন্দির থাকলেও বিষ্ণুপুরকেই বলা হয় বাংলার মন্দির শহর। বিষ্ণুপুরের সবচেয়ে পুরনো মন্দির বলা হয় মৃণ্ময়ী মন্দিরকে।

এই মন্দিরটি আদপে দুর্গা মন্দির। ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা জগত মল্ল এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মল্ল রাজারা বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলিকে ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করেছিলেন। তা থেকেই এখানকার নাম হয় বিষ্ণুপুর।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *