State

দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক জনসভা থেকে সোমবার ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন মিলবে বলেও জানান তিনি।

কলকাতা : বছর ঘুরলেই ভোটের পালে হাওয়া লেগে যাবে। তার আগে বাঁকুড়া সফরে গিয়ে সোমবার একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ও প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার খাতরায় একটি প্রশাসনিক জনসভা থেকে তিনি ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ব্লকে সরকারি ক্যাম্প বসবে।

প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে এই ক্যাম্প বসবে। সেখান থেকে সরকারি সুবিধা পাবেন ইচ্ছুক মানুষজন। তাঁরা তাঁদের কথা ক্যাম্পে এসে জানালে সেই সমস্যার সমাধান করবে প্রশাসন। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান হবে।

১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে এই কাজ। এদিনই ১২০০ মানুষের কাছে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আগামী জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়া চালু থাকবে। তিনি আরও বলেন, তাঁদের সরকারই তারপর ক্ষমতায় ফিরছে। তাই এই প্রকল্প আরও বেশি দিন টানা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র সময়মত দিচ্ছেনা। তাছাড়া কেন্দ্র ডিএ ফ্রিজ করেছে। মাসের ১ দিনের মাইনের টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

এ রাজ্যে কিন্তু এমনটা হয়নি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কোনও রাজ্যসরকারি কর্মীর মাইনে কাটা যায়নি। উল্টে রাজ্যসরকারি চাকরিতে বয়ঃসীমা বাড়ানো হয়েছে।

দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, সেখানে রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

কদিন আগে রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাঁকুড়ার আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন কটাক্ষের সুরে বলেন, ফাইভ স্টার হোটেল থেকে ভাত এনে আদিবাসীর বাড়িতে খান বিজেপি নেতারা। বিজেপির এসব ভাঁওতা মানুষ বুঝে ফেলেছে।

ওইদিনই আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে ভাত খাওয়ার আগে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন ওই মূর্তি আসলে বিরসা মুন্ডার নয়, ওটা এক আদিবাসী শিকারির মূর্তি। বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *