World

ছিল কুকুর, হয়ে গেল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রূপে এক কুকুর ঘুরছে রাস্তায়। এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

কুয়ালালামপুর : সব মিলিয়ে ৪টি ছবি। আপাত নিরীহ এই ছবির পিছনে কিন্তু লুকিয়ে আছে এক গভীর যন্ত্রণা। অবুঝ প্রাণির ওপর অত্যাচারের কাহিনি। যা সামনে এনেছে মালয়েশিয়ার একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। তারা ওই ৪টি ছবি ফেসবুকে দিয়ে এর বিচার চেয়েছে। চেয়েছে এর পিছনে যে বা যারা যুক্ত তাদের খোঁজ করে কঠোর শাস্তি। শাস্তি চেয়ে মুখর অনেক নেটিজেনই। ছবিগুলির মধ্যে মজার চেয়ে অনেক বেশি যন্ত্রণা অনুভব করছেন তাঁরা।

কী ছবি এমন ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিল? ছবিগুলি একটি কুকুরের। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুরের। যার সারা গায়ে কমলার ওপর কালো ডোরা। হুবহু রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এক ঝলক দেখলে অনেকে বাঘ বলে ভ্রমেও পড়তে পারেন। এতটাই নিখুঁতভাবে রং করা হয়েছে কুকুরটিকে। তারপর তাকে বাঘ সাজিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। নেটিজেনদের দাবি, এই যে কুকুরটিকে রং করা হল তা তার জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতেই পারে। তা থেকে কুকুরটির চামড়ায় বিষক্রিয়া হতে পারে।

দোলের সময় পথের প্রাণিদের গায়ে রং ছুঁড়তে নিষেধ করা হয়। কারণ রং খেলার পর মানুষ তো তা ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলে। কিন্তু অন্য প্রাণিদের গায়ে সেই রং থেকেই যায়। যা ক্রমশ তাদের চামড়ার ক্ষতি করে। একই ভাবে এই কুকুরকে বাঘ সাজানোর রং কুকুরটির জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন পশুপ্রেমীরা।

মালয়েশিয়ার পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে ফেসবুক মারফত জানতে চাওয়া হয়েছে এই ৪টি ছবি কোথাকার? কোন দেশ, কোন শহরের? এই কাজ কারা করেছে তাও জানাতে অনুরোধ করেছে তারা। যদি কারও তা জানা থাকে। এমনকি এই কুকুরটি কোথাকার এবং তার ওপর এই রং কারা করল তার খবর দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে একটি অবাক করা উপহারও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওই সংগঠন।

এখনও অবশ্য কুকুরের ছবিটি কোথায় তোলা তা পরিস্কার নয়। খোঁজ চলছে। তবে কুকুরকে বাঘ সাজানোর চেষ্টা নতুন নয়। বাঁদর তাড়াতে গত বছরই কর্ণাটকের এক ব্যক্তি একটি কুকুরকে বাঘের মত রং করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। যাতে তাকে দেখে বাঁদররা বাঘ ভেবে ভয়ে পালায়।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *