SciTech

দেশে সাড়ে ৩ কোটি বছর আগে ছিল অতিকায় জীবটি, উদ্ধার জীবাশ্ম

বিশ্বাস করা কঠিন তো বটেই। এ দেশের মাটিতে যদি এমন সাড়ে ৩ কোটি বছর আগের অতিকায় সরীসৃপটির খোঁজ মেলে তবে তো বিজ্ঞানীদেরও থমকে যাওয়ারই কথা।

এ সময়টাকে বলা হয়ে থাকে প্যালিওজেন যুগ। তখন ছিল গন্ডোয়ানা ল্যান্ড। সে সময় ভারতের মাটিতে ঘুরে বেড়াত এক অতিকায় সরীসৃপ। যা আদপে একটি সাপ।


ম্যাডসোয়াদি সাপ ছিল আকারে বিশাল। তখন অবশ্য প্রাণ মাত্রই ছিল বিশাল। তেমন এক সরীসৃপের জীবাশ্ম পাওয়া গেল ভারতের লাদাখে। ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষের দিকে এই সাপের দেখা মিলেছিল।

যা মনে করা হত তার চেয়ে আরও অনেক বেশি সময় এই সাপ ঘুরে বেড়াত লাদাখের মাটিতে। যা অবাক করছে বিজ্ঞানীদের। ফলে এতদিনের ধারনা অনেকটাই বদলে যেতে চলেছে। এই সাপ আরও বেশি সময় গন্ডোয়ানা ল্যান্ডের জমিতে স্বচ্ছন্দে ঘুরত।



আগামী দিনে যখন গন্ডোয়ানা ল্যান্ড ভেঙে যায় তখন অস্ট্রেলিয়াই ছিল সেই মহাদেশ যেখানে এই দানবীয় ম্যাডসোয়াদি সাপের বংশধররা বেঁচে ছিল। যাদের ডাকা হত ট্যাক্সন ওনাবি নামে।

এখন যখন দেখা যাচ্ছে যে এই সাপ সাড়ে ৩ কোটি বছর আগেও ছিল তখন বিজ্ঞানীরা মনে করছেন প্যালিওজেন যুগের প্রায় শেষপর্যন্ত তাহলে এই সাপের অস্তিত্ব ছিল। যে ধারনা তাঁদের আগে ছিলনা। কিন্তু লাদাখে এই সাপের জীবাশ্ম পাওয়া এবং তার সময়কাল পুরো ধারনা বদলে দিয়েছে।

গবেষণা জানাচ্ছে অন্য জায়গা থেকে আগেই বিলুপ্ত হওয়ার পরও এই ম্যাডসোয়াদি সাপ ভারতের লাদাখ অঞ্চলে ঘুরে বেড়াত। আর এর কারণ এখানকার তখনকার সময়ের জলবায়ু। সেই জলবায়ুই এদের আরও বেশি সময় এই বিশ্বে থাকার পথ পরিস্কার করে দিয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button