Lifestyle

কোন ঠোঁটে কেমন চুম্বন, সরস চুম্বনের টিপস

যখন কোনও পুরুষ চুম্বন করে – সে ভুলে যায় তার প্রেমিকার মোটা পা, চ্যাপ্টা নাক, কি পতিত বক্ষ।

প্রাচীন বাংলার ‘খেয়ালী’ পত্রিকায় চতুর্থ বর্ষে ‘চুম্বন’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। লিখেছেন হৃষীকেশ মৌলিক। চুম্বনের পক্ষে কোন ধরণের ঠোঁট উপযোগী, সেই প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন :

‘সরস পুরু আর কচি কোমল ঠোঁট, এই তিনটি হল চুম্বনের সবচেয়ে বেশি দরকারি। গোলাপ পাপড়ির সঙ্গে তুলনা দিয়ে কবিরা পাতলা ঠোঁটের প্রশংসা করেন বটে কিন্তু পাতলা ঠোঁট চুম্বনে কোনও তৃপ্তি দিতে পারে না। অনেকের আবার উঁচু দাঁত থাকে, ঠোঁট দুটি তাতে সংযুক্ত না থেকে, থাকে বিভিন্ন হয়ে। এমন মুখে চুমা খেতে কেউ কখনও আকৃষ্ট হবে না। নিখুঁত সুন্দর মুখের (Mouth) ঠোঁট দুটি খুব বেশি বড় হবে না, আবার খুব ছোটও হবে না একেবারে। মুখমণ্ডলের অনুপাতে তারা বড় ছোট হবে। কিন্তু ঠোঁট দুটি বেশ পুরু প্রশস্ত হওয়া চাই, আর তা হবে অতনুর তনুর মতো বাঁকা। চুনির মতো লাল, উজ্জ্বল পরিপূর্ণ ভাদ্রের ভরা নদীর মতো।’

রসিক হৃষীকেশ মৌলিক অনেক কথা লেখার পর আরও জানিয়েছেন :

‘কিন্তু অনেককে নিরাশ হতে হয়। কোন নারীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে হয়তো কোনও পুরুষ তাঁহার দেহের দুয়ারে এসে ভিখারি হল, কিন্তু যখন সে সুন্দরীর অধর তার নিজের অধর মিলাল কোনও সুখ সে পেলনা। যে উষ্ণ, প্রগাঢ় শিহরন-আনা, আত্ম-বিস্মৃত চুম্বন সে আশা করেছিল, তাতে সে হল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তীব্র আকাঙ্ক্ষা সব সুন্দরী মেয়েদের নাই, অথচ ওটিই হল একমাত্র জিনিস যা চুম্বনে প্রকৃত প্রাণ-সঞ্চার করতে পারে। দেখা গেছে এমনি যে মেয়ে সুন্দরী নয়, কোন আকর্ষণী শক্তিও নেই, চুম্বনের পক্ষে তারই মুখ চমৎকার। মাংসল সরস দুটি ঠোঁট নিয়ে সুন্দর অনতি বড় মুখ, অমনি সুন্দর মুখে যখন কোনও পুরুষ চুম্বন করে – সে ভুলে যায় তার প্রেমিকার মোটা পা, চ্যাপ্টা নাক, কি পতিত বক্ষ যদি থাকে।’ একালে অবশ্য অনেক বদলে গিয়েছে ধ্যানধারণা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *