Health

তাদের টিকার কোনও খারাপ প্রভাব নেই বলে জানাল ফাইজার

তাদের টিকা যে ৯০ শতাংশের ওপর কার্যকরী তা তাদের প্রথম রিপোর্টে আগেই জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা ফাইজার। এবার তারা জানাল তাদের টিকার কোনও খারাপ প্রভাব নেই।

নিউ ইয়র্ক : বিশ্ববাসী এখন অপেক্ষায় রয়েছেন কবে টিকাকরণ চালু হবে। অন্তত বিশ্বের কোথাও তো টিকাকরণ চালু হোক। এটাই চাইছেন তাঁরা। আশা একটাই, বিশ্বের কোথাও যদি চালু হয়ও তাহলে তাঁদেরও টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।


আবার এর মধ্যেও অনেকে রয়েছে যাঁরা স্থির করেছেন এখনই করোনা প্রতিষেধক টিকা নেবেন না। পাওয়ার সুযোগ হলেও নয়। কিছুদিন অপেক্ষা করতে চান তাঁরা। টিকাকরণ শুরুর পর টিকা নিয়ে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হতে চাইছেন।

করোনা প্রতিষেধক টিকার কার্যকারিতা অর্থাৎ করোনা রোখার ক্ষমতা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেইসঙ্গে তার কোনও সাইড এফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।



সেই কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের ওপর সফল হওয়ার পর এবার ফাইজারের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রায় নেই বলেই জানিয়ে দিল সংস্থা। সুরক্ষার ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকা ৯৫ শতাংশ সুরক্ষিত বলেই দাবি করেছে সংস্থা।

সংস্থা তাদের দ্বিতীয় রিপোর্টে এই দাবি করল। যা অবশ্যই আমেরিকা তো বটেই এমনকি বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই আশার আলো দেখাচ্ছে।

ফাইজার তাদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রথম রিপোর্ট পেশ করার পরই কিন্তু রাশিয়ার স্পুটনিক ভি কতটা কার্যকরী সে সম্বন্ধে জানিয়েছিল রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি স্পুটনিক ভি ৯২ শতাংশের ওপর কার্যকরী।

ফাইজার তাদের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী ঘোষণার পরই স্পুটনিক ভি ৯২ শতাংশ সফল বলে জানানোর মধ্যে কী সেই ঠান্ডা যুদ্ধের গন্ধ লুকিয়ে রয়েছে? অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন। এদিকে স্পুটনিক একথা জানানোর পরই মার্কিন সংস্থা মডার্না জানায় তাদেরটা ৯৪ শতাংশের ওপর সফল।

এদের বাদ দিলে টিকার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে নোভাভ্যাক্স, স্যানোফি-গ্ল্যাক্সো, জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এছাড়াও বেশ কিছু দেশে তাদের তৈরি টিকা ট্রায়াল পর্যায়ে সাফল্য পাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতের ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাক্সিন টিকাও। যা তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রবেশ করছে।

ইতিমধ্যেই ভারতের সকলকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সংস্থা। সরকারও চাইছে দেশে তৈরি টিকাই প্রদান করতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button