Health

পাশে বিল গেটস, কম দামে টিকা বেচবে সেরাম ইন্ডিয়া

ভারতবাসীকে সাধ্যের মধ্যে অতিমারির টিকা দেবে সেরাম ইন্ডিয়া। বিল গেটস পাশে না দাঁড়ালে যা হয়তো সম্ভব হতনা।

নয়াদিল্লি : ভারতে অতিমারির টিকা মিলতে পারে আগামী বছরের শুরুতে। এমনই মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও আমেরিকার নোভাভ্যাক্স-এর সঙ্গে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার যে চুক্তি হয়েছে তাতে এই টিকার ১০ কোটি ডোজ তৈরি হবে। যা ভারতের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের কাজে আসবে। যাতে তাঁরা কিনতে পারেন সেজন্য দামও সাধ্যের মধ্যে রাখাটা ছিল চ্যালেঞ্জ। আর সেরাম ইন্সটিটিউটকে সেই চ্যালেঞ্জে কার্যত জিতিয়ে দিয়েছে বিল গেটস-এর ফাউন্ডেশন। বিল গেটসের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন সেরামকে দেড়শো মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করতে চলেছে এই ভ্যাকসিন চুক্তিতে।


ভারতে এরফলে সেরাম অনেকের সাধ্যের মধ্যে করোনা টিকা বিক্রি করতে পারবে। সেরাম টিকার প্রতি ডোজের দাম করছে ২৫০ টাকার চেয়েও কম। কারণ যে চুক্তি হচ্ছে তাতে তাদের ৩ ডলার করে পড়ছে প্রতি ডোজের দাম। সেক্ষেত্রে সেরাম ২৫০ টাকার কম দামে দেশের মানুষকে টিকার প্রতি ডোজ বিক্রি করতে পারবে।

অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল যে বর্তমান অতিমারির টিকা কবে বার হবে? যখন মানুষ এটা অন্তত বুঝতে পারলেন যে হয়তো টিকা মিলবে এই বছরের শেষ বা সামনের বছরের শুরুতে, তখন তাঁদের নতুন চিন্তা পেয়ে বসল। টিকা এলেও তা কেনার মত দাম হবে তো? এবার সেটাও পরিস্কার করে দিল সেরাম। দাম যা ধার্য হচ্ছে তাতে তা একেবারেই ধরাছোঁয়ার বাইরে এমনটা নয়। এখন দেখার এক্ষেত্রে কেন্দ্র কতটা হাত বাড়িয়ে দেয়। যদি কেন্দ্র সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে এই টিকার দাম আরও কম হতেই পারে।



সেরাম ইন্সটিটিউট টিকার জন্য যে ২টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে তারমধ্যে ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা বাজারে আনছে, তাদের টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল ভারতে শুরু হতে চলেছে। অন্যদিকে সেরাম চুক্তি করেছে আমেরিকার নোভাভ্যাক্স-এর সঙ্গেও। তাদেরও ট্রায়াল ভারতে শুরুর অপেক্ষায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button