Health

২ হাজার বছরের পুরনো খাদ্য, গুণে অনবদ্য, কোন কোন রোগে উপকারি

ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে এর উৎপত্তিস্থল হিসাবে ধরা হয়। ২ হাজার বছর আগেও এখানে এই খাবারটি খাওয়ার প্রচলন ছিল।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান্নার ধরণে পরিবর্তন এসেছে। অনেক ধরণের সবজি যা আগে খাওয়া হত না বা পাওয়াও যেত না সেসব এখন বাঙালির পাতে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু আনাজ তার আদি অনন্ত মর্যাদা ধরে রেখেছে। তার মধ্যে একটি অবশ্যই কচু। সাবেক কাল থেকে এখন পর্যন্ত রান্না ঘরে রয়ে গিয়েছে কচু।

রাস্তার পাশে, বাড়ির আনাচে কানাচে, পতিত জমিতে অনাদরে অবহেলায় কচু গাছ হয়ে থাকতে দেখা যায়। অবশ্য এখন চাহিদা মেটাতে অনেক সময় কচু যত্ন করে চাষও করা হয়। বিভিন্ন জাতের কচু দেখা যায়।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বন জঙ্গলে যে সমস্ত কচু দেখা যায় তাদের বুনো কচু বলে। বুনো কচুর অনেকগুলি জাত খাওয়ার মতো নয়। খাবার উপযোগী জাতগুলো হল, মুখী কচু, পঞ্চমুখী কচু, মান কচু, ওল কচু ইত্যাদি।

ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে কচুর উৎপত্তিস্থল হিসাবে ধরা হয়। ২ হাজার বছর আগেও এখানে কচু খাওয়ার প্রচলন ছিল। কোনও পরিচর্যা ছাড়াই বিভিন্ন ধরণের কচু জন্মায়।

বিভিন্ন ধরনের পদ রান্না করা যায় কচু দিয়ে। কচুর মূল উপাদান হল আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে।

কচু কান ও গলার রুক্ষতা বা সুড়সুড়ি দূর করে। এটি আমাশা রোগে বিশেষ উপযোগী। বর্ষাকালে বাজারে নানা রকম কচু বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এসময়ে বাংলার ঘরে ঘরে কচুর নানা পদও রান্না হয়। যা সুস্বাদুও বটে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *