বাড়ির পিছনের বাগান খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ডাইনোসর
বাড়ির পিছনের বাগানে কিছু নতুন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেজন্য বাগান খোঁড়ার কাজ চলছিল। খোঁড়ার সময় শ্রমিকদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়।

তাঁর বাড়ির পিছনে একটি বাগান রয়েছে। বেশ অনেকটা জমি নিয়ে বাগানটা। তিনি স্থির করেছিলেন সেখানে একটি ছোট নির্মাণের কাজ করাবেন। নির্মাণের কাজ করাতে গেলে তো মাটি খুঁড়ে ফেলতে হবে। শুরু হয় বাগানের মাটি কাটার কাজ।
এভাবে মাটি কাটতে গিয়ে কিছুটা তখন খোঁড়া হয়েছে। এমন সময় শ্রমিকদের নজর কাড়ে একটি হাড়ের মত দেখতে শক্ত পাথরে রূপান্তরিত হওয়া কোনও জিনিস। মাটি তো কাটা হতে থাকবে। এটা আবার মাটির তলায় কি!
অবাক হয়ে তাঁরা মালিককে ডাকেন। ওই ব্যক্তি অতিকায় কঙ্কালের মত প্রস্তরখণ্ডে পরিণত হওয়া জিনিসটি আর ভাঙতে দেননি। বরং তিনি লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ে খবর দেন। সেখান থেকে বিশেষজ্ঞেরা এসে হাজির হন পর্তুগালের পোমবাল শহরে তাঁর বাড়িতে।
শুরু হয় অতি সন্তর্পণে মাটি কাটার কাজ। মাটি বেশ কিছুটা কেটে ফেলার পর যা বেরিয়ে এল তা দেখে সকলেই চমকিত হন। দেখা যায় ওই ব্যক্তির পুরো বাগানটা জুড়েই মাটির তলায় ছিল জীবাশ্মে পরিণত হওয়া একটি ডাইনোসরের কঙ্কাল। সেটির চেহারা দেখে গবেষকেরা জানান যে যে ডাইনোসরের কঙ্কাল সেটি তা অতিকায় চেহারার।
বাগানে এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়ার ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালে। এরপর টানা চলে ওই পুরো জমি জুড়ে খনন। ৫ বছর টানা খননকার্য চলে যাতে পুরো জীবাশ্মটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এরপর এবার গবেষকেরা পুরো জীবাশ্মটি পাওয়ার পর জানাচ্ছেন এটি একটি তৃণভোজী ডাইনোসর। ৩৯ ফুট লম্বা এই ডাইনোসর জুরাসিক সময়ের শেষের দিকেও পর্তুগালের ওই অংশে রাজত্ব করত।