SciTech

সাপের মতো মুখের প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাঙরের সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা

জল জগতের বিস্ময়কর আবিষ্কার। ৮ কোটি বছরে মাত্র একবার এমন বিরলের মধ্যে বিরলতম প্রাণির দেখা পাওয়া যায়। ঈশ্বরদর্শন বোধহয় এর থেকে সহজ।

শিবের বরে গলাকাটা গণেশ পান হাতির মুখ। তবে কী মা মনসার বরে সাপের মতো মুখ পেল এই হাঙ্গর? পর্তুগালের উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে দেখা মিলল এমনই এক অদ্ভুতদর্শন হাঙরের।

প্রাগৈতিহাসিক যুগের এই হাঙ্গরটি উষ্ণতম পৃথিবীর জল-জগতের বিস্ময়কর আবিষ্কার। আটলান্টিক মহাসাগরের একেবারে গভীর তলদেশে বিশেষ অভিযান চালাতে গিয়ে প্রাচীনতম হাঙ্গরটির সন্ধান পান একদল ইউরোপীয় বিজ্ঞানী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

প্রায় ৬ ফুট দীর্ঘ হাঙ্গরটি সমুদ্রের গভীরতম শীতল প্রদেশে বিচরণ করতেই ভালবাসে। সম্ভবত এই কারণে এতদিন তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই হাঙ্গরটি ডাইনোসর যুগের অন্যতম সামুদ্রিক নিদর্শন। সম্ভবত টিরানোসরাস রেক্সদের আবির্ভাবের যুগে মহাসমুদ্রের অতলে এই জাতীয় করাল দাঁতের হাঙরের অস্তিত্ব ছিল। রাক্ষুসে সেই ৩০০টি দাঁত দিয়ে অন্য প্রজাতির হাঙর, বিশালাকার অক্টোপাস, মাছ বা স্কুইডদের আয়াসের সঙ্গে উদরে চালান করে সে।

যুগ যুগ ধরে বিবর্তনের পথ ধরে কত প্রাণি বদলেছে নিজেদের চেহারা। আবার অনেকেই চিরকালের জন্য পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গেছে।

সমুদ্রের আতঙ্ক প্রবীণ এই সর্পমুখী হাঙর কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারল তা রীতিমত ভাবাচ্ছে জীববিজ্ঞানীদের।

৮ কোটি বছরে মাত্র একবার এমন বিরলের মধ্যে বিরলতম প্রাণির দেখা পাওয়া যায়। ঈশ্বরদর্শন বোধহয় এর থেকে সহজ। সত্যি, সমুদ্র-প্রকৃতি যে আরও কত রহস্য তার গর্ভে লুকিয়ে রেখেছে, সেটা মনুষ্য প্রজাতির দেখার বিষয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *