Lifestyle

পুতুলের শরীর খারাপ, নিয়ে চলুন হাসপাতালে

বিশ্বের প্রাচীনতম পুতুলের হাসপাতাল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসুস্থ পুতুলের আত্মীয়স্বজনরা চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন এই হাসপাতালে।

শরীর খারাপ হলে, কেটে ছড়ে গেলে ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে ছুটে যায় মানুষ। শরীরের যেকোনও অঙ্গের চিকিৎসার সব রকমের ব্যবস্থা থাকে সেখানে। কিন্তু বাড়ির আরেক সদস্যের কথা অনেক সময় ভুলে যায় তার পরিবার। বাড়ির ছোট সদস্যদের খুব প্রিয় পুতুলের কথা বলা হচ্ছে এখানে। পুতুলেরও মাঝে মাঝে শরীর খারাপ হয়। চোট লেগে তার চোখ, নাক, মুখ বা হাত পায়ের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। সে কথা বাড়ির বড়রা অনেক সময় খেয়াল করেন না। বিকল পুতুলের তখন ঠাঁই হয় ঘরের এক কোণে বা আস্তাকুঁড়েতে। আর সেই শোক সামলাতে না পেরে কেঁদেকেটে একসার হয় কচিকাঁচারা।

নিষ্প্রাণ হলেও পুতুল-অনুরাগীদের কাছে পুতুল হল শৈশবের প্রিয় জীবিত এক সঙ্গী। সেই কথা মাথায় রেখেই ১৮৩০ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে তৈরি হয় পুতুলের হাসপাতাল। একসময় সেখানে মানুষের চিকিৎসা করা হত। আর এখন সেটি পেয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম পুতুল হাসপাতালের আখ্যা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসুস্থ পুতুলের আত্মীয়স্বজনরা চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন লিসবনের এই হাসপাতালে। প্রায় ১৯০ বছর ধরে নষ্ট হয়ে যাওয়া, ভেঙ্গে যাওয়া বা বিকল পুতুলের সেবা শুশ্রূষা করে চলেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ধরণের পুতুল, খেলনা পশুপাখি ইত্যাদির সংরক্ষণ ও চিকিৎসা করা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মালিক। চিকিৎসার সময় রোগীর আর্থিক অবস্থাকে প্রাধান্য দেন না চিকিৎসকেরা। যে পরিবারেরই সদস্য হোক বা যে কোম্পানির পুতুল হোক, সবাইকে সমান চোখে দেখে সেবাযত্ন করে থাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুতুল নিয়ে মানুষের নস্টালজিয়াই তাঁদের চলার পাথেয় বলে মনে করেন ‘হসপিটাল দে বনেকাস’-এর সদস্যরা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *