National

সরকার বদলের পাল্টিমার ছক, নীতীশের রাজনৈতিক প্যাঁচে দিশেহারা বিজেপি

নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক বুদ্ধির তারিফ রাজনৈতিক মহলে অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। এবার ফের সেই রাজনৈতিক বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করার পথে হাঁটলেন তিনি।

২০২০ সালে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং বিজেপি জোট বিহারে দ্বিতীয় দফায় সরকার গড়ে। এদিকে জেডিইউ-র হাতে মাত্র ৪৩টি আসন থাকলেও নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী হন। বিজেপি ৭৪টি আসন নিয়ে তাঁকে সমর্থন দিয়ে গেরুয়া শিবিরের ২ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় যুক্ত করে।

তখনই এটা চর্চায় উঠে এসেছিল অনেক বেশি আসন থাকা সত্ত্বেও নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেও বিজেপি নিজের হাতেই রাশ রাখছে। ২ উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজপি নেতৃত্বের কথায় নীতীশ সরকারকে চাপে রাখবেন।

বিজেপি তাদের শরিক দলকে ক্রমশ দুর্বল করতে থাকবে, এমনও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা বলতে থাকেন। নীতীশ এই দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে এবার বার হওয়ার পথ খুঁজে নিলেন।

হয়তো এখনও তিনি বিজেপিকে সহ্য করে নিতেন। কিন্তু অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার পাটনায় শোভাযাত্রা করা এবং ২০০টি আসনে প্রয়াস নামে উদ্যোগ শুরু নীতীশকে কার্যত বিজেপির থেকে অনেকটা দূরে করে দেয়।

বিহারের রাজনীতি হাতের তালুর মত চেনা নীতীশ কুমার রাতারাতি এবার ফোন করলেন সনিয়া গান্ধীকে। এদিকে এই সপ্তাহে পরপর বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস, আরজেডি এবং জেডিইউ বিধায়কেরা।

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও দেখা করেছেন নীতীশ। এখন যদি বিধানসভায় নীতীশকে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতেও বলে বিজেপি তাহলেও নীতীশ সহজেই কংগ্রেস, আরজেডি এবং বাম দলগুলির সমর্থনে তা প্রমাণ করে দেবেন। পাল্টা মহাগঠবন্ধন সরকার বিজেপির মসনদে বসবে।

নীতীশ সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী থেকেই যাবেন। মাঝখান থেকে বিজেপি কার্যত প্রায় সব হারাবে। যা ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে যাবে।

এমনটা কিন্তু নীতীশ কুমার এর আগেও ২০১৩ সালে করে এসেছেন। ফলে বিজেপির হাত থেকে বিহারের ক্ষমতা চলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। কারণ বিজেপি ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠালেও তাতে যে চিঁড়ে ভেজেনি তা নীতীশের এই পাল্টিমার পরিকল্পনা থেকেই স্পষ্ট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *