National

বাংলায় সবুজ ঝড় অব্যাহত, মহারাষ্ট্র ঝাড়খণ্ডে ২ বিপরীত মেরুর জয়জয়কার

আরজি কর কাণ্ডের পর এটাই ছিল প্রথম নির্বাচন। যেখানে তৃণমূল জনমানসে তাদের অবস্থান যাচাই করার সুযোগ পেয়েছিল। সেখানে সবুজ ঝড় দেখল রাজ্য।

আরজি কর কাণ্ডের ছায়া কি নির্বাচনের ওপর পড়বে? উপনির্বাচনে কি তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছে? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। বাংলার মানুষ উপনির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রে তাঁদের রায় দিয়েছিলেন। তার গণনা শুরু হয় শনিবার সকাল থেকে।

আর গণনা শুরুর পর থেকেই পরিস্কার হয়ে যায় জনতার রায়। বাংলায় সবুজ ঝড় যে অব্যাহত রয়েছে তা ফের একবার প্রমাণ হল এই উপনির্বাচনের ফলে। বাংলার ৬টি কেন্দ্রের ৬টিতেই সবুজ ঝড় পরিস্কার হয়ে যায়।


ভোট হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটিতে, বাঁকুড়ার তালড্যাংরায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুরে, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ও কোচবিহারের সিতাইতে। এরমধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বলছে মাদারিহাট ছাড়া বাকি সব কেন্দ্রেই জয় পেয়েছিল তৃণমূল।

এবার সেই মাদারিহাটেও গণনা শুরুর পর থেকে এগিয়ে যায় তৃণমূল। এই সবুজ ঝড়ে তৃণমূল শিবির অবশ্যই আরজি কর কাণ্ডের পর অনেকটা স্বস্তি পেল। আরজি করের ছায়া যে ভোটবাক্সে পড়েনি তা পরিস্কার হয়ে গেছে রাজ্যের শাসক দলের কাছে।


বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল দেশের ২টি রাজ্যে। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন হয়েছিল। এই ২ রাজ্যে ২ রকম ফল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বিপরীত মেরুর ২ জোট একটি করে রাজ্যে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে।

মহারাষ্ট্রে এনডিএ সাইক্লোন দেখা গিয়েছে। যেখানে লড়াই ছিল এনডিএ বনাম এমভিএ-র মধ্যে। এনডিএ হল বিজেপি, শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ার নেতৃত্বাধীন এনসিপি-র জোট। অন্যদিকে এমভিএ বা মহা বিকাশ অগধির শরিক ছিল কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পাওয়ারের এনসিপি।

এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের মানুষ এনডিএ-কেই ক্ষমতায় আনা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। এর ঠিক উল্টো ছবি দেখা গেছে ঝাড়খণ্ডে। এদিন গণনা শুরুর পরই বোঝা যায় সেখানে এনডিএ পিছনে পড়ে গেছে। অনেক এগিয়ে যায় ইন্ডিয়া জোট।

এগিয়ে থাকার নিরিখে নিরঙ্কুশের গণ্ডি পার করে যায় ইন্ডিয়া জোট। ঝাড়খণ্ডে ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল।

প্রসঙ্গত ঝাড়খণ্ডে শাসক দল এখন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। সেখানে বেলা পর্যন্ত ছবি বলে দিচ্ছে গদি উল্টোতে ব্যর্থ এনডিএ। এদিকে এদিন কেরালার ওয়ানাড লোকসভা কেন্দ্রে নজর ছিল সকলের। কারণ সেখান থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বেলা যত গড়িয়েছে তাঁর লিড লক্ষ পার করে আরও এগিয়েই গিয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button