Kolkata

১৭৭ দিন পর পাতালের মাটি কাঁপিয়ে ছুটল মেট্রো

১৭৭ দিন পর ফের সকলের জন্য চালু হয়ে গেল মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোয় গন্তব্যে পৌঁছনোর সুযোগ পেয়ে যাত্রীরা বেজায় খুশি।

কলকাতা : অ্যাসিড টেস্টটা সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এর দিনই হয়ে গিয়েছিল। কেবলমাত্র ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত রবিবার মেট্রোর চাকা ঘুরেছিল। পুরো সময় নির্বিঘ্নেই যাতায়াত করেছে মেট্রো। তাই সোমবার সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য মেট্রো চালনা নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সোমবার ১৭৭ দিন পর অবশেষে মেট্রো চলল সফলভাবে। ফলে খুশি যাত্রীরা। তবে অভিযোগও রয়েছে।

নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে মেট্রোর টিকিট নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত যাত্রীরা। স্মার্ট কার্ড থাকতে হবে, স্মার্টফোন থাকতে হবে। তবে মিলবে ই-পাস। সেই ই-পাস কীভাবে অ্যাপ থেকে পাওয়া যাবে তা নিয়ে রীতিমত হিমসিম খেতে হয়েছে অনেককে। স্মার্ট কার্ড অনেক যাত্রীর নেই। তাঁরা সাধারণ নিয়মে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে যাতায়াত করেন। এঁদের কোনও সুযোগ নেই মেট্রো চড়ার। কারণ কোনও টিকিট ইস্যু হচ্ছেনা।


অনেক বয়স্ক মানুষ বা এমন অনেকে আছেন যাঁরা বেসিক ফোন হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেন। ফোন করতে আর ধরতে পারলেই হল। আর প্রয়োজনে খুব বেশি হলে এসএমএস দেখা। এজন্য স্মার্টফোনের দরকার পড়ে না। কারও যদি স্মার্টফোন থাকেও তাহলেও তিনি অ্যাপ ডাউনলোড করে তা থেকে ই-পাস বুক করার নিয়ম সম্বন্ধে সড়গড় নন। এঁরা বেজায় সমস্যায় পড়েছেন এদিন। প্রয়োজন থাকলেও মেট্রো ধরতে পারেননি। যেতে হয়েছে বাসেই।


যাঁরা স্মার্ট কার্ড, স্মার্টফোন নিয়ে গত রাতেই বুকিং শুরুর পর ই-পাস বুক করেছেন তাঁরা অবশ্য এদিন মেট্রোয় নিয়ম মেনে চড়েছেন। গেটে দেখাতে হয়েছে ই-পাস। তারপর শরীরের তাপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মিলেছে প্রবেশাধিকার। তারপর পুরনো নিয়মে স্মার্ট কার্ড দেখিয়েই ট্রেনে উঠেছেন। ট্রেনের মধ্যে সিটে ক্রস চিহ্ন দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে বসা যাবেনা। ফলে ২ যাত্রীর মাঝে একটা ফাঁক থাকছে। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে মেট্রোর কামরা। যাত্রীদের মুখে মাস্ক আবশ্যিক।

এদিন কলকাতা মেট্রোর পাশাপাশি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও চালু হয়েছে। তবে সেখানে ই-পাসের জটিলতা নেই। ভিড় এদিন কলকাতা মেট্রোতেও কমই হয়েছে। অনেকে ই-পাস বুক বা স্মার্টকার্ড রিচার্জের জটিলতায় ঢুকতে চাননি। তবে মেট্রোর চাকা যখন একবার ঘুরেছে, তখন মেট্রোয় ক্রমে ভিড় বাড়বে। কারণ এত দ্রুত কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা নিজের গাড়ি থাকলেও নেই।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button