Health

করোনায় গন্ধ উধাও হলেও তা ফিরিয়ে দেওয়ার উপায় রয়েছে, দাবি গবেষকদের

করোনা হয়েছে কিনা তা বোঝার এক সহজ উপায় গন্ধ ও স্বাদ চলে যাওয়া। সেই হারিয়ে যাওয়া গন্ধ দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন একদল গবেষক।

করোনা হয়েছে কিনা জানবেন কীভাবে? পরীক্ষা করার আগেই সে বিষয়ে আন্দাজ পাওয়ার জন্য যে উপসর্গগুলির তালিকা করোনার প্রায় প্রথম অবস্থা থেকে জানা গিয়েছিল তার মধ্যে একটি ছিল গন্ধ চলে যাওয়া। কোনও কিছুর গন্ধ পাবেন না রোগী। সেক্ষেত্রে তিনি ধরে নিতে পারেন যে তাঁর করোনা হয়েছে। তারপর পরীক্ষা করলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।

এদিকে করোনায় হারিয়ে যাওয়া গন্ধের অনুভূতি ফিরছে খুব ধীরে। অনেকে তো এক বছরের ওপর গন্ধ পাচ্ছেন না। গন্ধের অনুভূতি এভাবে হারিয়ে গেলে স্বাভাবিক জীবনে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। কিন্তু সেই অনুভূতি ফিরবে কিভাবে তার উপায় এখনও অজানা।

ব্রিটেনের ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই গন্ধ চলে যাওয়ার ওপর একটি ১২ সপ্তাহের ট্রায়াল করেন। করোনায় গন্ধ হারানো কয়েকজনকে বেছে নেওয়া হয়।

জার্মানিতে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে গন্ধ ফেরাতে ভিটামিন-এ-র জুরি নেই। ব্রিটেনের গবেষকেরা সেই তত্ত্বকে সামনে রেখে ভিটামিন-এ নাকে স্প্রে করার সিদ্ধান্ত নেন। যে গবেষণায় তাঁরা সফল বলেই দাবি করেছেন গবেষকেরা।

তবে এটা গবেষকদের দাবি মাত্র। তা এখনও সর্বজনীনভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এই গবেষণাকে নানা ভাবে খতিয়ে দেখার পর যদি তা ছাড়পত্র পায় তাহলে তার বিশ্বজুড়ে ব্যবহার শুরু হতে পারে।

সেক্ষেত্রে যদি গবেষকদের দাবি সত্য হয় তাহলে অনেক মানুষ যাঁরা করোনার জন্য গন্ধ হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা দ্রুত গন্ধ ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *