SciTech

বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারে বদলে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা

বিজ্ঞানীদের খোঁজ কখনও থেমে থাকেনা। যা আজ সত্য তা নতুন কোনও হদিশে মিথ্যা হয়ে যায়। ভুল প্রমাণিত হয়। এমনই এক খোঁজ মিলল বরফের খাঁজে।

অনেকদিন আগে সাইবেরিয়ান ম্যামথের হাড় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে যে ডিএনএ পাওয়া যায় তা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ডিএনএ-র হদিশ পান। যার বয়স ছিল ১০ লক্ষ বছর।


এতদিন সেটাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ডিএনএ। এটাই ইতিহাস হয়ে ছিল। কিন্তু উত্তর গ্রিনল্যান্ডে তুষার যুগের সময়ের একটি ডিএনএ পুরনো সব ধারনা ধূলিসাৎ করে দিল।

আবহাওয়া কেন্দ্রিক একটি ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে যার বয়স ১০ লক্ষ নয় ২০ লক্ষ বছর। ফলে বিশ্বে প্রাণের অস্তিত্বের ব্যাখ্যাই বদলে গেল।



প্রসঙ্গত আবহাওয়া কেন্দ্রিক ডিএনএ হল সেই ডিএনএ যা সরাসরি কোনও প্রাণির দেহ থেকে নয়, বরং তা কোনওভাবে জল, বরফ, মাটি বা বাতাসে মিশে যাওয়ার পর সেখান থেকে উদ্ধার হয়।

গ্রিনল্যান্ডে যা পাওয়া গিয়েছে তা তুষার যুগের একটি বরফের স্তরের সঙ্গে মিশে ছিল। যা ২০ লক্ষ বছরে কখনও মানুষের সংস্পর্শে আসেনি বা তাতে হাত পড়েনি।

২০ লক্ষ বছর আগেও প্রাণের অস্তিত্ব, সে সময়কার ডিএনএ উদ্ধার কিন্তু বদলে দিল ইতিহাস। এবার এ নিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করতে হবে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে এই নতুন ডিএনএ নমুনা উদ্ধার হয়েছে। গবেষকরা মনে করছেন এটা এতটাই যুগান্তকারী খোঁজ যে তা বলে দিতে পারে আজকের বিশ্ব উষ্ণায়নের মূলগত কারণ।

২০ লক্ষ বছর আগের বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধেও একটা স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে এই ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে। যা অনেকটা নতুন করে পৃথিবীকে চেনাতে সাহায্য করবে। ভেঙে দেবে পুরনো অনেক ধারনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button