Kolkata

প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ বজায় রাখল হাইকোর্ট

রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনে সে অর্থে সাড়া দিল না হাইকোর্ট। প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ বজায় রাখল আদালত। তবে পুজোর কাজে মণ্ডপে ঢোকার সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

কলকাতা : প্যান্ডেলে নো এন্ট্রি। কোনও দর্শনার্থীকে প্যান্ডেলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এমনকি পাড়ার সকলেও যখন তখন ঢুকে পড়তে পারবেন না। সেখানেও তালিকায় বেঁধে দেওয়া সংখ্যা ধরেই প্রবেশের সুযোগ মিলবে। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর কলকাতার প্যান্ডেল হপিং নিয়ে মানুষের উৎসাহ অনেকটাই দমে গেছে।‌

এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে ফোরাম ফর দুর্গাপূজা কমিটি আদালতের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ সব দিক বিবেচনা করে ২টি পরিবর্তন করে বাকি তাদের দেওয়া গত নির্দেশাবলী একই রেখেছে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

২টি ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়মে শিথিলতা করেছে আদালত। এক ঢাকিদের প্রবেশ নিষেধের ক্ষেত্রে ঢাকিরা আসবেন, ঢাক বাজাবেন। তবে মণ্ডপের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেননা।

আবার ছোট পুজোর ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া ৫ মিটার ও বড় পুজোর ক্ষেত্রে ১০ মিটারের ঘেরাটোপের বাইরেও তাঁদের থাকতে হবে না। তাঁরা মণ্ডপের মধ্যে না ঢুকলেও ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেই ঢাক বাজাতে পারবেন।

ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১৫ জন এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জনের বেশি পুজো কমিটির সদস্য এবং পুজোর কাজে যুক্ত ব্যক্তি মিলিয়ে সর্বোচ্চ ঢুকতে পারবেন। এটাই ছিল আগের রায়। এদিন তা কিছুটা বদল করেছে আদালত।

এখন ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ৩০ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। তবে একসঙ্গে ৩০ জন নয়, সর্বোচ্চ ১৫ জনই ঢুকতে পারবেন।

অন্যদিকে বড় পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন থেকে বেড়ে সংখ্যাটা হয়েছে ৬০ জন। তবে ৪৫ জনের বেশি একই সময়ে ভিতরে থাকতে পারবেননা। এই তালিকা প্রতিদিন বদল করা যাবে। তবে তা সকাল ৮টার মধ্যে টাঙাতে হবে। পুলিশের কাছেও এই তালিকা যাবে।

এই ২টি পরিবর্তনের বাইরে আগের রায়ে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি। ফলে প্যান্ডেলে ঢুকে পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধিপুজো বা সিঁদুর খেলা থেকে কার্যত দূরেই থাকতে হচ্ছে সকলকে। নিজের পাড়ার ঠাকুর দর্শনও কার্যত কঠিন হল।

আদালতের নির্দেশ কতটা ঠিকমত মানা হল সে সম্বন্ধে হলফনামা জমা দিতে হবে পুলিশকে। ফলে পুলিশ আদালতের নির্দেশ যেন পালন করা হয় সেদিকে নজর রাখবে। বারোয়ারিগুলিও আদালতের নির্দেশ যাতে মানা হয় সেদিকে কড়া নজর দেওয়া শুরু করেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *