Kolkata

বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, কটাক্ষ রাহুলের

রাজ্যের উন্নয়নে কোনও নতুন দিশা দিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বিজেপি আতঙ্কে ভুগছেন। তাই ২১শে জুলাই পুরো বক্তৃতা জুড়ে শুধুই বিজেপিকে নিয়ে কথা বলে গেলেন। আসলে তৃণমূলনেত্রী বিজেপি আতঙ্কে ভুগছেন। তাই এমনভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে বলে গেলেন যেন এ রাজ্যে বিজেপি ছাড়া আর কোনও দলই নেই। শনিবার ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শেষ হওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে এভাবেই পাল্টা আক্রমণ হানলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর দাবি, রাজ্যে তৃণমূল সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। সারদা নারদের টাকা চুরি করেছে। আর যারা করেছে তাদের জেলে ভরলেই যত দোষ হয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মমতা জানান এজেন্সি দিয়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তার পাল্টা রাহুল সিনহার দাবি রাজ্যে সিআইডি দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিজেপি নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

তৃণমূল এবার হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক নিশ্চিত করার দিকে ঝুঁকেছে বলেও এদিন দাবি করেন রাহুল সিনহা। তাঁর দাবি, ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতায় এদিন জায়গাই পেলেন না মুসলিমরা। তাঁদের নিয়ে একটি কথাও বললেন না তৃণমূল নেত্রী। কারণ এখন তিনি হিন্দু ভোট নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তৃণমূল নেত্রী এদিন তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন ত্রিপুরায় সিপিএম পচে গিয়েছিল। সেই অবস্থায় বিজেপি ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতাদের টাকা ছড়িয়ে কিনে নিয়ে সেখানে জয় নিশ্চিত করে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন রাহুল সিনহা বলেন, ত্রিপুরায় সিপিএমে পচন ধরে গিয়েছিল। আর এ রাজ্যে তৃণমূল ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তাই বিজেপিও এখান থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে সমর্থ হবে। এদিকে দিল্লি থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিজেপি নেতা পাল্টা বলেন, আগে বাংলা সামলান, তারপর দিল্লি নিয়ে ভাববেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে ফেডারেল ফ্রন্টের সমাবেশ করার ডাক দিয়েছেন। যা নিয়ে দলীয় কর্মীদের তৈরি হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। এদিন রাহুল সিনহা জানান ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেডে তাঁরাও সমাবেশ করবেন। প্রস্তাবিত সেই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন। তার আগে রাজ্য জুড়ে বিজেপি বুথে বুথে রথযাত্রা করবে। সেই রথযাত্রার অন্তিম পর্যায় হবে ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সভা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *