World

১৩ মৎস্যজীবীকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচাল বাংলাদেশ

কাকদ্বীপ থেকে মাছ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল তারা শঙ্কর নামে একটি জেলে নৌকা। কাকদ্বীপ থেকে অনেক জেলে নৌকাই প্রতিদিন পাড়ি দেয় সমুদ্রে। তারা শঙ্করও এই প্রথম পাড়ি দিল না। ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে সমুদ্রে যখন ওই জেলে নৌকা পাড়ি দেয় তখন কিন্তু সমুদ্র স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত শনিবার বিকেলের পর থেকেই সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করে। আর সেই পরিস্থিতি‌তে মোচার খোলের মত দুলতে থাকা নৌকাটি ১৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে থমকে যায় সমুদ্রে। নৌকাটি খারাপ হয়ে যায়।

একে উত্তাল সমুদ্র। তারওপর নৌকার মেশিন কাজ কাজ করছে না। ফলে নৌকা নিয়ে এগোনো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় কার্যত মৃত্যুর মুখে পড়েন ওই ১৩ মৎস্যজীবী। বাঁচানোর আর্তি পাঠান তাঁরা। তা এসে পৌঁছয় ডায়মন্ডহারবারে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ফিশারিজ-এর কাছে। তিনি তা কলকাতায় ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী দ্রুত ওই মৎস্যজীবীদের কথা বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানায়। সাহায্য চায়। কারণ নৌকাটি তখন উত্তাল সমুদ্রের বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল।

বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী দ্রুত মঙ্গলা বন্দর থেকে তাদের জাহাজ নিয়ে রওনা দেয়। অবশেষে তারা খোঁজও পায় তারা শঙ্কর নৌকাটির। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমুদ্রের মাঝখানে আটকে থাকা ওই নৌকার কাছে পৌঁছয় বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ। তখন তারা শঙ্কর নৌকাটি বাংলাদেশ জলসীমার ৬০ নটিক্যাল মাইল ভিতরে অবস্থান করছিল। নৌকাটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেটিকে দড়িতে বেঁধে টেনে ওখান থেকে নিয়ে আসে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ।

পুসুর মোহনার কাছে তখন সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় দাঁড়িয়েছিল শতাধিক ভারতীয় জেলে নৌকা। তাদের হাতে ওই নৌকাটিকে তুলে দেয় বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী। ভারতীয় নৌকাগুলি ওই ১৩ মৎস্যজীবীকে নিয়ে তারা শঙ্কর নৌকাটিকে নিজেদের সঙ্গে দড়িতে বেঁধে টেনে নিয়ে আসে ভারতে। বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে ওই উত্তাল সমুদ্রে না পৌঁছলে হয়তো ১৩ মৎস্যজীবীর ভাগ্যে অন্য কিছু অপেক্ষা করছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button