মার্কিন সেনার হামলায় মৃত্যু হয়েছে আইএস প্রধান আল বাগদাদি-র, এমনই দাবি করছেন মার্কিন আধিকারিকরা। একদম আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে টার্গেট করেই এই হামলা চালিয়েছিল মার্কিন সেনা। গত শনিবার উত্তর সিরিয়ায় মার্কিন সেনা হামলা চালায়। সেখানেই বাগদাদির মৃত্যু হয়। একটি মহলের দাবি বাগদাদি নাকি মার্কিন হামলা থেকে রেহাই মেলার উপায় নেই দেখে আত্মহত্যা করেছে। যদিও মার্কিন সেনা সাফ জানিয়েছে তাদের হামলাতেই বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত। তবে ডিএনএ পরীক্ষা এখনও হয়নি।
বাগদাদির মৃত্যু সত্যিই হয়ে থাকলে তা মার্কিন সেনার জন্য যেমন বড় সাফল্য তেমনই সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্বের দিকে একটা বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। আইএস-কে অন্যতম নৃশংস সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করা হয়। বাগদাদিকেও একজন নৃশংস হামলা পরিকল্পনাকারী বলে মনে করা হয়। ২০১০ সাল থেকে তার উত্থান শুরু। তার আগে ইরাকে এক ধর্মগুরু হিসাবে ছিল বাগদাদি। তার আসল নাম ইব্রাহিম আওয়াদ আল-বদরি। ইরাকের সামারা শহরে ১৯৭১ সালে তার জন্ম।
২০১০ সালে প্রথমে আল কায়দায় যোগ দেয় বাগদাদি। তারপর দ্রুত আল কায়দা থেকে ভেঙে গিয়ে সিরিয়ার একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে মিশে গিয়ে আইএস হয়ে যায়। বাগদাদি আইএস প্রধান হয়ে যায় খুব দ্রুত। ২০১১ সালে আমেরিকা তাকে সন্ত্রাসবাদী বলে আখ্যা দিয়ে তার মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার বলে ঘোষণা করে। তারপর বহু সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল আইএস। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়ান্টেড হিসাবে চিহ্নিত হত বাগদাদি। তাকে হত্যা করতে পারা আমেরিকার জন্য বড় সাফল্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা