World

চূড়ান্ত ক্লান্তি কেড়ে নিল জীবন, হিমালয়েই শুয়ে আছেন গ্রাসা

পর্বতারোহী হিসাবে তিনি যথেষ্ট পরিচিত। পাহাড় চড়া তাঁর নেশা। তাই সুদূর স্পেন থেকে তিনি ছুটে আসেন হিমালয়ে। একের পর এক শৃঙ্গ জয় করে নেমে আসেন। ফের নতুন শৃঙ্গের খোঁজে পা বাড়ান। এমনই এক মানুষ স্পেনের ফার্নান্ডো সানচেজ গ্রাসা। গ্রাসা এবার উঠেছিলেন হিমালয়ের হিমলাঙ্গ পর্বতে। নেপাল থেকে এই শৃঙ্গে চড়তে হয়। ৭ হাজার ১২৬ মিটার উঁচু এই পর্বত জয় করেন তিনি। এবার নেমে আসার পালা। কিন্তু সেই নেমে আসাই অসম্পূর্ণ রেখে শেষ হল গ্রাসার জীবন। বরফ ঢাকা পাহাড়কে ভালবেসে সেখানেই শেষ হল তাঁর জীবন।


৪৪ বছরের গ্রাসা হিমলাঙ্গ থেকে নামার সময় ক্রমশ তাঁকে একটা অদ্ভুত ক্লান্তি পেয়ে বসছিল। হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। এক শেরপা জানাচ্ছেন, ৩ নম্বর ক্যাম্পে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। গ্রাসা টলমল পায়ে এগিয়ে আসছিলেন ক্যাম্পের দিকে। আবহাওয়া খারাপ ছিল। গ্রাসার পরিস্থিতির কথা আগেই তাঁর যমজ ভাই কিছুটা আগে নেমে এসে খবর দিয়েছিলেন। কিন্তু অন্য ১ জনকে বাঁচিয়ে ফেরাতে সক্ষম হলেও গ্রাসাকে আর নামিয়ে আনতে পারেননি তাঁরা।

গ্রাসা বরফে ঢাকা পাহাড়েই পড়ে যান। ক্লান্তি তাঁকে আর এগোনোর শক্তি দেয়নি। ওখানেই শেষ হয়ে যায় ৪৪ বছরের এক পর্বতারোহীর জীবন। রবিবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত হলেও তাঁর দেহ এখনও উদ্ধার করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। আবহাওয়াও খারাপ। শীত পড়তে থাকলে যেমনটা হয়। আপাতত তাই হিমালয়ের কোলেই নিশ্চিন্ত নিদ্রায় বরফের ওপর কোথাও একটা শুয়ে আছেন গ্রাসা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা



News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button