বিভিন্ন সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে এই শহরে। বিশ্বের এমন এক শহর যেখানে অলিগলি পিচ ঢেলে তৈরি হয়নি। তৈরি হয়েছে গভীর জল দিয়ে। পরিবহণের জন্য জলের বুকে ভেসে বেড়ায় গন্ডোলা। বাড়ির দরজা থেকে গাড়ি নয়, গন্তব্যে পৌঁছতে এই গন্ডোলা নামে বিশেষ দর্শনের নৌকায় চড়েন মানুষজন। সেই শহরে গত ৫০ বছরে যা ঘটেনি, সেটাই ঘটে গেল। জোয়ার এল বটে তবে তা ভয়ংকর। ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জোয়ারের কবলে পড়ল ভেনিস।
খতিয়ান বলছে এবার যে জোয়ার আসে তাতে জল ৬.১৪ ফুট উচ্চতা ছোঁয়। সেন্টিমিটারের নিরিখে ১৮৭। ১৯৬৬ সালেও একবার এমন অতিকায় জোয়ার ভেনিসে হানা দিয়েছিল। তখন জল উঠেছিল ১৯৪ সেন্টিমিটার। এবার তার চেয়ে মাত্র ৭ সেন্টিমিটার কম উঠেছে জল। এদিকে এমন দানব জোয়ারে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত ইতালির এই ছবির মত শহরের জনজীবন।
ভেনিস শহর বন্যায় আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন ২ জন। মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। জল ছড়িয়ে পড়েছে শহরের সর্বত্র। শহরের সেন্ট মার্কস স্কোয়ার হল পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। সেই চত্বরও জলের তলায় চলে গেছে। ভেনিস শহরের অর্থনীতি অনেকটা পর্যটনের ওপর দাঁড়িয়ে। এখানে সারা বিশ্ব থেকে মানুষ ভিড় জমান। সারা বছর ভিড় থাকে। সেখানে এমন পরিস্থিতি পর্যটনে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এদিকে ভেনিসের মেয়র এমন ঘটনার জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তনকে কাঠগড়ায় চড়িয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা