Entertainment

জামিনের আবেদন নাকচ, জেলেই থাকতে হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীকে

সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত।

মুম্বই : মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার অভিনেত্রী তথা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। রিয়া চক্রবর্তী বলেই নয়, তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী সহ ৮ অভিযুক্তেরই জামিনের আবেদন শুক্রবার নাকচ হয়ে গেছে। ফলে রিয়া সহ সকলকেই আপাতত জেলে থাকতে হচ্ছে। তবে তাঁরা এবার জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে চলেছেন।

মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত শুক্রবার সকলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি এঁদের গ্রেফতার করে মাদক যোগের অভিযোগে। পুরো মাদক কাণ্ডই ঘুরপাক খাচ্ছে অবশ্য একটি বিশেষ মামলাকে কেন্দ্রে রেখে। সেটি হল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রহস্যের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এদিকে রিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার ফলে তাঁকে আপাতত মুম্বইয়ের বাইকুল্লা সংশোধনাগারেই থাকতে হচ্ছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

গত রবিবার থেকে টানা ৩ দিন ধরে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি-র আধিকারিকরা। তার আগেই সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করেছে এনসিবি। গ্রেফতার হয়েছেন সুশান্তের বাড়ির কেয়ারটেকার স্যামুয়েল মিরান্ডাও। তারপরই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল এবার হয়তো রিয়ার পালা। রিয়া চক্রবর্তীকে অবশ্য ডেকে পাঠালেও প্রথম ২ দিনে গ্রেফতার করেনি এনসিবি। অবশেষে তৃতীয় দিনে তিনি মঙ্গলবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি আধিকারিকদের মুখোমুখি হন। কিছুক্ষণ জেরার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এনসিবি-র জেরার মুখে রিয়া স্বীকার করেছেন যে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য মাদকের বন্দোবস্ত করতেন। তা সময়ে সময়ে তাঁকে দিতেনও। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে রিয়া চক্রবর্তী তাঁর ভাই সৌভিককে দিয়ে মাদক আনাতেন। জানা যাচ্ছে রিয়াকে তদন্তকারীরা তাঁর গ্রেফতার হওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই তিনি ভেঙে পড়ান। স্বীকার করেন মাদক দেওয়ার কথা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *