World

বাঙ্কারে লুকোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসের সামনে প্রবল বিক্ষোভ আছড়ে পরার পর মাটির তলার বাঙ্কারে আশ্রয় নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ওয়াশিংটন : পুলিশ হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমেরিকা জুড়ে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। করোনা নিয়ে জেরবার আমেরিকার মানুষ কিন্তু রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের আগুন এই সপ্তাহান্তে আছড়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনেও। সেখানে অনেক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবাসস্থল হোয়াইট হাউসের কাছেপিঠেই বাড়িতে আগুন দেখা যায়। মানুষ হোয়াইট হাউসের কাছে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই ঝুঁকি না নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাটির তলার বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। অবশ্য খুব বেশিক্ষণ তিনি সেখানে ছিলেননা।

বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে লিঙ্কন মেমোরিয়াল ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিফলকেও। সেখানে ভাঙচুর হয়। সেন্ট জনস চার্চের সামনের রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ সামাল দিতে ওয়াশিংটনের মেয়র শহরে কার্ফু জারি করেন। কিন্তু কার্ফুর তোয়াক্কা না করেই চলে বিক্ষোভ। চলতে থাকে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বিক্ষোভ হোয়াইট হাউসের কাছে চলতে থাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাঙ্কারে পাঠানো হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন তিনি। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ হোয়াইট হাউসের সব আলোও নিভিয়ে দেওয়া হয়। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা।

৪৬ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতার করতে গিয়ে এক পুলিশ আধিকারিক হাঁটু দিয়ে তাঁর ঘাড় চেপে ধরেন। ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি বারবার বলতে থাকেন দয়া করে যেন হাঁটু সরিয়ে নেন পুলিশ আধিকারিক। কারণ তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। অভিযোগ, সেকথায় কান না দিয়ে প্রায় ৮ মিনিট ওই অবস্থায় রাখা হয় কৃষ্ণাঙ্গ ওই ব্যক্তিকে। ফলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে থার্ড ডিগ্রি খুন ও মানুষহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *