World

শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় বন্দি ২ শিশু সহ ৩ মহিলা, গ্রেফতার বৃদ্ধ

যৌন চাহিদা পূরণ না করলে ঘর থেকে বেরতে দেব না। এই হুমকি দিয়ে ৩ মহিলাকে ২ ঘণ্টা গৃহবন্দি করে রাখল অস্ট্রেলিয়ার এক বৃদ্ধ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি গত বছর ২৭ ডিসেম্বরের ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আসে গত বুধবার। ৬৭ বছরের বৃদ্ধ জেমস বার্নার্ড কিং অস্ট্রেলিয়ানিবাসী হলেও কম্বোডিয়ার শিয়ানোকভিল শহরে তার একটি বাড়ি আছে। সেখানে মাঝেমধ্যেই হাজির হয় সে। ওই বাড়িতে সে সপরিবারে তার এক বান্ধবীকে নিমন্ত্রণ জানায়। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে বৃদ্ধের বিকৃত লালসার ফাঁদে পড়ে যান তার বান্ধবী ও তাঁর পরিবারের অন্য ২ মহিলা।

অভিযোগ, বৃদ্ধ তার বান্ধবী ইয়ো কি-কে প্রথমে রান্না করার নির্দেশ দেয়। আর বান্ধবীর বোন ও তাঁর ভাইঝিকে অন্য ঘরে গিয়ে নিজেদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে চাপ সৃষ্টি করে। পরে সেখানে হাজির হন বান্ধবীও। তাঁকেও বৃদ্ধ জেমস একই প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ৩ জনই তার এমন কুরুচিকর প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁদেরকে একটা ঘরে বৃদ্ধ আটকে রাখে। এমনকি বান্ধবীর বোনের বাচ্চাদেরকেও ঘরের ভিতর আটকে রাখা হয়। বাড়ির বাইরে যাবার মিনতি করলে অভিযুক্ত তাঁদের কোন কথাই শোনেনি বলে দাবি বৃদ্ধের বান্ধবীর। পরে সুযোগ বুঝে ৩ জনের মধ্যে ১ জন ফোনে পুরো বিষয়টি জানান এক আত্মীয়কে। সেই আত্মীয়ের তৎপরতায় স্থানীয় পুলিশ শিয়ানোকভিলে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয়। ঘরে আটক ২ শিশুসহ ৩ মহিলাকে উদ্ধার করে তারা। ৩ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button