Kolkata

বিকেলে মোদীর সভা, সকাল থেকেই ব্রিগেডমুখী বহু মানুষ

শিয়ালদহ বা হাওড়া স্টেশনে তোড়জোড় নজর কেড়েছে মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই। হাওড়ায় অনেক ট্রেন এসে দাঁড়িয়েছে। নেমে এসেছেন দূরদূরান্তের মানুষ। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে জনসভায় যোগ দিতেই তাঁদের কলকাতায় আসা। রাতটা শহরেই কাটিয়ে সকালে রওনা দেবেন ব্রিগেডের দিকে। এটাই পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। ট্রেন থেকে নামার পর অচেনা শহরে তাঁদের খাওয়া দাওয়া থেকে থাকার সব ব্যবস্থাই তাই করেছিল বিজেপির হাওড়া শাখা। সেখানে রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত ছিল যথেষ্ট। যতই ভিড় হোক যাতে খাওয়া দাওয়ার কোনও সমস্যা না হয়।

রাতে আসা মানুষ যেমন ছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় নজর কেড়েছে বুধবার সকাল থেকে শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভিড়। ২টি স্টেশনেই বিজেপির তরফে ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখান থেকে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ব্রিগেডে পৌঁছনোর রাস্তা। মোট ৪টি ট্রেন এদিন ভাড়া করে বিজেপি। তাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসা হয়। এছাড়া কয়েক হাজার বাসও ভাড়া করা হয়েছিল। তাতেও শহরে এসেছেন উত্তরবঙ্গ হোক বা রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তের বিজেপি কর্মীরা।

ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন ব্যারাকপুরের বেশ কিছু বাস বোঝাই করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কলকাতা আসতে দেখা গেছে। যার মধ্যে ছিল ৭৮ নম্বর রুট বা ৮৫ নম্বর রুটের বাস। এছাড়া মাটাডোর, লম্বা রুটের বিভিন্ন বাসও এদিন ভাড়া করে নিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা।

সকাল থেকে ব্রিগেডেও ছিল সাজ সাজ রব। ব্রিগেডের জনসভায় এবার বিজেপির অভিনবত্ব ছাউনি। চড়া রোদে কর্মী সমর্থকদের স্বস্তি দিতে ব্রিগেডের একটা বড় অংশ ছাউনি দিয়ে ঢেকে ফেলেছে বিজেপি। ফলে চড়া রোদ হলেও মানুষ একবার ব্রিগেডে পোঁছে গেলে তাঁরা ছাউনির তলায় আশ্রয় নিচ্ছেন। গরম লাগছে। ঘাম হচ্ছে ঠিকই। তবে প্রখর রোদটা সটান গায়ে পড়ছে না। এখন বিজেপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হল ব্রিগেড ভরানো। বিজেপি নেতাদের দাবি বিকেলের মধ্যে ব্রিগেড ভরে যাবে। এখন দেখার নরেন্দ্র মোদীর বিকেলের ভাষণ শুরু হওয়ার আগে কতটা ব্রিগেড ভরাতে সক্ষম হন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *