National

উপযুক্ত মনে হলে তবেই বিজেপিতে নেব, সাফ জানালেন কৈলাস

প্রধানমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে জানিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ভোট মিটলেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন। তিনি যে ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে যাননি তা এদিন প্রমাণ হওয়া শুরু হল। ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর এখনও কেন্দ্রে বিজেপি সরকার শপথ নেয়নি। তার আগেই তৃণমূল ও অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ধুম পড়ে গেল। মঙ্গলবারই ৩ বিধায়ক ও ৬৩ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিলেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য রাজ্য থেকে এমনই লাইন পড়েছে যে বিজেপি নেতৃত্ব জানাচ্ছে ৭ দফা নির্বাচনের মত মাসে ৭ দফায় বিজেপিতে যোগদান পর্ব করবে তারা।

রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, তাঁরা চান ২০২১ সালের ভোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে। কিন্তু যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে যোগদান হচ্ছে তাতে তার আগেও যে কিছু হতে পারে তেমন ইঙ্গিত এদিন দিয়ে দেন কৈলাস। সেইসঙ্গে আরও একটি বিষয় পরিস্কার করে দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বিজেপিতে এখন আর যোগ দেব বললেই তাঁকে দলে নিয়ে নেবেন না তাঁরা। আগে তাঁরা পরীক্ষা করে দেখবেন যিনি আসতে চাইছেন তিনি বিজেপির জন্য উপযুক্ত কিনা। তারপরই বিজেপিতে তাঁকে যোগদানের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। সকলকেই বিজেপিতে জায়গা দেওয়া যে হবে না তা এদিন পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মুকুল রায় এদিন বলেন, ৩০ মে শপথ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রের নতুন সরকার। তারপর পয়লা জুন থেকেই ফের বিজেপি যোগদানের পর্ব শুরু হবে। বিধায়ক থেকে কাউন্সিলর নিয়ে বিজেপি হর্স ট্রেডিং করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুকুল রায় বলেন, তাঁদের রাজ্যে হর্স ট্রেডিংয়ের দরকার নেই। পাল্টা বিধায়ক, কাউন্সিলর কেনাবেচার অভিযোগ তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *